সে দিন আকাশ ছিল কুয়াশামোড়া, মাটি যেন গিলছিল আর্তনাদ। ২১ জুলাই, ১৯৯৩ কলকাতার রাস্তায় শুধু পদচারণা নয়, ছিল এক ঝড়, এক বিদ্রোহ, এক নারীর অভিমান। না, এ শুধু মিছিল ছিল না, এ ছিল গণতন্ত্রের বুকে রক্তে লেখা এক চিৎকার, যার প্রতিধ্বনি আজও ভেসে আসে ধ্বংসস্তূপ থেকে। এদিন ইতিহাসের পৃষ্ঠায় গেঁথে যায় এক নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাহসিনী, যিনি ‘বুলেটের বদলে ব্যালট’-এর শপথ নিয়ে পেরিয়ে এসেছেন রক্তাক্ত পথ।
শহরের প্রাচীন ভেঙে পড়া ট্রামের ছায়ায়, ফাঁকা ভিক্টোরিয়া হাউসের মুখোমুখি দাঁড়ানো এক নারী, যার হাতে ব্যানার ছিল, মুখে ছিল বজ্রকণ্ঠ। আর তারপরই, পুলিশের গুলি। ১৩ তরতাজা প্রাণ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। সেদিন শুধু শরীর নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্রও।
শহরের প্রাচীন ভেঙে পড়া ট্রামের ছায়ায়, ফাঁকা ভিক্টোরিয়া হাউসের মুখোমুখি দাঁড়ানো এক নারী, যার হাতে ব্যানার ছিল, মুখে ছিল বজ্রকণ্ঠ। আর তারপরই, পুলিশের গুলি। ১৩ তরতাজা প্রাণ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। সেদিন শুধু শরীর নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্রও। কিন্তু মমতা থামেননি। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন ও, এই রক্তের দাম দিতে হবে, দিতে হবে এক নতুন বাংলার ইতিহাস লিখে।
আজকের শহীদ দিবস শুধুই এক শোকসভার দিন নয়, এটি হয়ে উঠেছে চেতনার আগ্নেয়গিরি। ২১ জুলাই মানেই এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের মিলনমেলা, যেখানে রাজনীতির ভাষা ছাপিয়ে যায় আবেগের অভিধানকে। সেখানে ‘দিদি’ কেবল মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি শহীদের অগ্নিগর্ভা সন্তান, যিনি বুক চিতিয়ে বলেন, “ভয় পাই না, মাথা নত করি না।”
এই সভা, এই জনসমুদ্র, এই পতাকা, সব মিলিয়ে মমতার ২১ জুলাই যেন এক জীবন্ত ইতিহাস, যেখানে অতীত আর বর্তমান মিশে তৈরি করে এক আশ্চর্য ভবিষ্যৎ।
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এবার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সভার। কিন্তু তার পরোয়া কে করে? আবেগের ঢেউ তো ঘড়ি দেখে না। এই সভা, এই জনসমুদ্র, এই পতাকা, সব মিলিয়ে মমতার ২১ জুলাই যেন এক জীবন্ত ইতিহাস, যেখানে অতীত আর বর্তমান মিশে তৈরি করে এক আশ্চর্য ভবিষ্যৎ।
মমতা জানেন, রাজপথে শুধু হাঁটলেই আন্দোলন হয় না। চোখে আগুন থাকতে হয়, কণ্ঠে বজ্রপাত থাকতে হয়, আর হৃদয়ে থাকতে হয় শহীদের স্বপ্ন। তাই তো ২১ জুলাই আসে আবার, প্রতিবছর, মোমবাতির আলো নিয়ে, পোস্টারে আঁকা মুখ নিয়ে, আর শপথ নিয়ে, এই বাংলা কোনোদিনও মাথা নত করবে না।