বর্ষাকাল হয়ে উঠছে অন্যতম প্রিয় ভ্রমণকাল। এ সময় পাহাড় যেমন হয়ে ওঠে সবুজ, তেমনি সমুদ্র আরও উদ্দাম। বর্ষায় ঘোরার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিপদ থাকলেও এই সময় পাহাড় বা সমুদ্রের রূপ বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ । শীত-গ্রীষ্মের মরা জলপ্রপাত বর্ষায় ফিরে পায় যৌবন। পাহাড়, বা সমুদ্রে যাঁরা বর্ষাযাপনের চিন্তা করছেন, তাদের মাথায় রাখতেই হবে এই ১০ উপদেশ, নচেৎ ঘোর বিপদ ।
ভারী বর্ষণ ও ভূমিধস পূর্বাভাস, বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জেনে নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন।
যেখানেই যান রেইনকোট, ছাতার সঙ্গে শুকনো কাপড় রাখুন। দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন কাপড় সঙ্গে নিন।
পাহাড়ে ভ্রমণে গেলে জল ও পাথুরে পথে হাঁটার উপযোগী জুতো পরুন।
গহিন পাহাড়ে গেলে স্থানীয় অভিজ্ঞ গাইড নিন। তাঁদের নির্দেশ মানুন। তাঁরাই পাহাড়ি পথে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করবেন। জলপ্রপাতে নিরাপদে থাকতে পরামর্শ দেবেন।
এ সময় পাহাড়ে গেলে জোঁকের সাক্ষাৎ মিলবেই! মোজার ভেতর পায়জামা বা প্যান্ট গুঁজে নিতে পারলে জোঁকে ধরার ঝুঁকি কম থাকে। তবে ঝিরিপথে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই জোঁকে ধরার ঝুঁকি থেকেই যায়। জোঁকে ধরলে তা সরাতে কাজে লাগাতে পারেন শক্ত কাগজ বা লবন।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বর্ষায় জলপ্রপাতের ঢালগুলো পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এসব ঢাল বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করবেন না। সামন্য ভুলে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা।
জলপ্রপাতের নীচের কূপগুলো নিরাপদ নয়। অগভীর হলেও সাঁতার না জানলে এসব কূপে নামবেন না।
রাতে যেখানে থাকবেন, সেখানে মশারির ব্যবস্থা আছে কি না, নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজনে মসকিউটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামলসহ প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিন। সৈকতে লাল নিশান চিহ্নিত পয়েন্টে কোনোভাবে স্নানে নামবেন না। সাঁতার না জানলে সমুদ্রের জলে নামার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিন। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ডের উপদেশ মেনে চলুন।
