ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বাংলাদেশ। উত্তরার একটি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। ভয়াবহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৫০ জন। তবে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে অনেকেই আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধিকারিকরা। রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শীর্ষ আধিকারিকরা। কীভাবে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি ওড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন এই ঘটনা ঘটে সেই সময় স্কুলে ক্লাস চলছিল। স্কুল ভর্তি। হঠাৎ করেই প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ! মুহূর্তে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। আতঙ্কে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে বিস্ফোরণে পরেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ভেঙে পড়ে বহুতলটির একাংশ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে সম্পূর্ণ ধলসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ৫০ জন। যাদের মধ্যে ১০ জনেরও বেশি মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। অন্যদিকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবন সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়া বহুতলের সামনে থেকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স বের হচ্ছে। ফলে ঠিক কতজন আহত এবং নিহত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিশপ্ত ওই স্কুলটির সামনে অভিভাবকদের ভিড়। চোখেমুখে স্পষ্ট উৎকণ্ঠার ছাপ। প্রথম আলোর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে তাঁর সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে চাপ, টেনশন। ঘটনাস্থল সম্পূর্ণ ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশ বায়ুসেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এফ-৭ বিমানটি ভেঙে পড়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে বিমানটি ব্যবহার করা হতো। যদিও কীভাবে বিমানটি ভাঙল তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাইলটের।