জয় শ্রী রাম নয়, বাংলা দখল করতে বিজেপির ভরসা মা দুর্গা, কালী। বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যেও মা কালী, দুর্গার নামে স্লোগান শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে ‘রাম-নাম’ ছেড়ে তাহলে এবার কালী-দুর্গার সভায় বাংলায় ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি? আর সেই জল্পনার মধ্যেই এবার এই ইস্যুতেই বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে জয় শ্রী রাম বলত, এখন বলছে জয় মা দুর্গা-জয় মা কালী”। এমনকী আগামিদিনে জয় বাংলা বলতে হবে বলেও আক্রমণ শানালেন তিনি।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বছর ঘুরলেই ২৬- এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে এটাই শেষ জুলাই। আর সেই মঞ্চ থেকে যে আগামিদিনে লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট ছিল। আর সে পথে হেঁটেই বাংলা এবং বাঙালি যে শাসকদল তৃণমূলের হাতিয়ার হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এদিন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, ‘আমরা বাংলায় কথা বলি, ১০০ বার বলব’। শুধু তাই নয়, ২০২৬ সালের পর বিজেপিকে দিয়েও ‘জয় বাংলা’ বলাব বলেও এদিন ২১ শের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
এদিন বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। অভিষেক বলেন, কখনই মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না বাংলা। তাঁর কথায়, গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বের হবে। এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং নির্বাচন কমিশনকেও বিজেপি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন। বলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন
সভায় আসা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের ‘অভয়াবার্তা’, ‘দু’টি E-কে কাজে লাগাচ্ছে। কেউ ভয় পাবেন না।’ তাঁর দাবি, বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ২৬ এর বঙ্গ বিধানসভার পর ওই ক্যাম্পে বিজেপিকে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। শুধু তাই নয়, কোনো জায়গা যে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না তাও এদিন ২৬ এর লড়াইয়ের নামার আগে নেতা-কর্মীদের বার্তা যুবরাজের। দীর্ঘ বক্তব্য শেষে তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতবাণী করি না। তবে যে কটা আবর্জনা রয়েছে তাদের ঝেঁটিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে পদ্মফুল উপরে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলে রাখা প্রয়োজন, ধর্মতলা এদিন একেবারে লোকারণ্য। চারপাশ শুধুই কালো মাথা। শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, এবারের ভিড় আরও একটি রেকর্ড। গতবারের যে ভিড় ছিল, তা ছাপিয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যায় মানুষ এসেছেন বলেও দাবি করছে শাসকদলের।