২০০৮ সালে প্রথমবার বসেছিল আইপিএলের আসর। সে বারই ঘটে গিয়েছিল এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যা আলোড়ন সৃষ্টি করে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়।সকলকে আচম্বিত করে সেদিন ভরা মাঠের মাঝখানে ভারতীয় বোলার শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে চড় মারেন হরভজন সিং। দীর্ঘ ১৭ বছর সেই কৃতকর্মের জবাব পেলেন প্রাক্তন অফস্পিনার। আর সেই জবাবটা তাকে দিয়েছে শ্রীসন্থের ১০ বছর বয়সী মেয়ে শ্রীসানভিকা।
সম্প্রতি সদ্য অবসরে যাওয়া আরেক ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন টার্বুনেটর। সেখানেই তুলে ধরেন এই ঘটনা। বলেন, “ওই ঘটনার অনেকদিন পর শ্রীসন্থ এবং ওঁর পরিবারের সঙ্গে আমার একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখন শ্রীসন্থের মেয়ে বলে, ‘আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না। আমার বাবাকে মেরেছ তুমি।’ ওই একরত্তি বাচ্চার মুখে সেই কথা শুনে আমি খুব আঘাত পেয়েছিলাম। কেঁদেই ফেলেছিলাম প্রায়।”
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
উক্ত অনুষ্ঠানে অশ্বিন জিজ্ঞাসা করেছিলেন ভাজ্জিকে। এমন কোনও ঘটনা আছে কি যা তিনি নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলতে চান? জবাবে হরভজন শ্রীসন্থকে চড় মারার ঘটনাটি তুলে ধরেন। অত্যন্ত অনুতাপের সঙ্গে বলেন, “পারলে ওই ঘটনাটা আমি আমার জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাই। যা করেছিলাম সেটা ভুল ছিল। এরপর অন্ততঃ ২০০ বার ক্ষমা চেয়েছি ওই ঘটনার জন্য। তবু এরপরেও ঘটনাটা মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে। সুযোগ পেলে আমি এখনও ক্ষমা চেয়ে নিই।”
আরও পড়ুন
এরপরই শ্রীসন্থের মেয়ের ঘটনাটি তুলে ধরেন ভাজ্জি। যা তাঁকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ আইপিএল হরভজন খেলেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। অন্যদিকে শ্রীসন্থের গায়ে ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (অধুনা পাঞ্জাব কিংস) জার্সি। দুই দলের ম্যাচে শুরু থেকেই স্বভাবসিদ্ধভাবে উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন শ্রীসন্থ। এরপর ম্যাচ শেষে যখন ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে করমর্দন করছিলেন তখন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি টার্বুনেটর। কষিয়ে থাপ্পড় মারেন শ্রীশন্থের গালে। এরপর অবশ্য দুজনেই ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছেন ভারতের হয়ে।