নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত
২১ জুলাই ইতিহাসের দিন, আবেগের নাম, আর এখন? একদম মাস প্রোডাকশন ইভেন্ট । যাদের রক্ত ঝরেছিল গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, আজ তাঁদের সেই রক্তই হয়ে গেছে এক রাজনৈতিক মঞ্চের রঙিন ব্যাকড্রপ! ১৩ জনের প্রাণের দামে বানানো এই মঞ্চে আজ বাজে বক্তৃতার ঢাক, আর স্ক্রিনে ফ্ল্যাশ করে মুখে গাম্ভীর্য, পেছনে ক্যামেরার লেন্সে মেকআপ মেশানো কৃত্রিম অশ্রু। গণতন্ত্রের শহিদ দিবস এখন ‘ইমোশনাল ভোটা উৎসব’ যেখানে বক্তৃতা মানেই ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে দুর্নীতির র্যাপ সং, আর মঞ্চে হাঁটেন স্বপ্ন বিক্রেতা নেতারা, যাঁদের ওয়ালেট ভরা, অথচ বিবেক শূন্য।
প্রার্থীদের নাম ঠিক করার আগে দেখা হয় তারা কত বড় ‘সেনাপতি’, কিন্তু শহিদদের আদর্শ? ওগুলো এখন দলীয় আর্ট গ্যালারিতে ঝোলানো যায়, বাড়ির ড্রইংরুমে নয়! আর হ্যাঁ, দুর্নীতির ডিরেক্টররা এখন ক্লাব-হাউস থেকে আদালত অবধি ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু মঞ্চে একফোঁটা জবাবদিহি নেই।
একদিন যে রাস্তায় পড়েছিল শহিদের রক্ত, আজ সেই রাস্তা দিয়ে চলে বিলাসবহুল কনভয়, যার ভিতরে বসে থাকা নেতারা কোটি কোটি টাকার ব্যাগে গুছিয়ে রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীদের কান্না। যে শহিদরা চেয়েছিল ভোটের স্বচ্ছতা, আজ তাঁদের নামেই চলেছে ছাপ্পার ‘স্পনসরশিপ’ ক্যাম্পেইন। প্রার্থীদের নাম ঠিক করার আগে দেখা হয় তারা কত বড় ‘সেনাপতি’, কিন্তু শহিদদের আদর্শ? ওগুলো এখন দলীয় আর্ট গ্যালারিতে ঝোলানো যায়, বাড়ির ড্রইংরুমে নয়! আর হ্যাঁ, দুর্নীতির ডিরেক্টররা এখন ক্লাব-হাউস থেকে আদালত অবধি ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু মঞ্চে একফোঁটা জবাবদিহি নেই।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
২১ জুলাই এখন শহিদদের স্মৃতি-ব্যবসা লিমিটেড, যার CEO ‘ইমোশনাল ম্যানিপুলেশন’, CFO ‘কনভার্সন রেট’! ব্যালট বাক্সে ভোট পড়ে শহিদের নামে, কিন্তু উঠিয়ে নেয় দুর্নীতির ফ্লাটওয়ালা দেবতারা। যারা সেই ১৩ জনের জন্য চোখে জল ফেলে, তারাই রাতের অন্ধকারে ভোট লুটে নেয়! প্রশ্ন থাকেই, তাদের প্রাণ কি সত্যিই গণতন্ত্র বাঁচাতে ঝরেছিল, না কি কারও ভবিষ্যৎ বিলাসবহুল করতে?
২১ জুলাইয়ের আসল সংজ্ঞা আজ,
রক্ত দিয়ে শুরু, রঙ দিয়ে সাজানো,
আর দুর্নীতির মোড়কে মুড়ে,
ব্যালট বাক্সের কসমে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা এক দিবসীয় আবেগ!