উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা জগদীপ ধনখড়ের। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেই মতো সকালেও রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব সামলান। হঠাৎ করেই সন্ধ্যায় উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করলেন ধনখড়। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীন ভারতে এই প্রথমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন কেউ ইস্তফা দিলেন।
স্বাস্থ্যের অবনতির জন্যেই তাঁর এই ইস্তফা বলে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ধনখড়। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে চান। আর সেই কারণেই ভারতীয় সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা বলে উল্লেখ। মঙ্গলবার থেকে উপরাষ্ট্রপতি পদ আর সামলাবেন না বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের যেভাবে সমর্থন পেয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন।
চিঠিতে জগদীপ ধনখড় লিখছেন, আমার উপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ, সারাজীবন তা মনে থাকবে। এমনকী যে অভিজ্ঞতা উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে অর্জন করেছি, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দেশের বিকাশের ক্ষেত্রে কীভাবে সাক্ষী থেকেছেন তাও লেখা চিঠিতে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন জগদীপ ধনখড়।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বলে রাখা প্রয়োজন, চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লির এইমসে ভর্তি হন ৭৪ বছর বয়সি ধনখড়। বুকে ব্যথা এবং হৃদরোগজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চলে চিকিৎসা। সেই সময়েই এইমসের চিকিৎসকরা ধনখড়কে বিশ্রামের পরামর্শ দেন। উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে দায়িত্ব নেন জগদীপ ধনখড়।
বাংলায় রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব সামাল দেওয়ার সময়েই তাঁকে প্রার্থী করা হয়। বিরোধীদের তরফে ছিলেন মার্গারেট আলভা। কিন্তু শেষমেশ উপরাষ্ট্রপতি পদে জয় পান জগদীপ ধনখড়। সেই সময় থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এমনকী আজ সোমবার সকালেও দায়িত্ব সামলান। রাতে ইস্তফার কথা জানান।
