বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, এমন দিনে হাতে এক প্লেট গরম গরম ডাম্পলিং থাকলে মন জুড়িয়ে যায়। পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে আরামদায়ক এই খাবার মনও ভরায়। কিন্তু এই বৃষ্টিতে বাইরে গিয়ে বা অর্ডার করে ডাম্পলিং আনানোর থেকে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। চিন্তায় পড়ে গেলেন? ঠিক মতো হবে কি না, ময়দার আস্তরণ প্রয়োজন মতো নরম বা শক্ত হবে কি না, পুরটা জ্যুসি হবে কি না… এত চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিভিন্ন তারকা শেফের টিপস এক জায়গায় করে জানাব কেমনভাবে পারফেক্ট ডাম্পলিং বাড়িতে বানানো যায়।
ডাম্পলিং দেখে মনে হতে পারে খুব সহজ একটা খাবার, বানানোও হয়তো সহজ। কিন্তু প্রতিটা উপাদান, ময়দার মিশ্রণ থেকে ভিতরের পুর, সবটাই খুব মন দিয়ে বানাতে হয়। তাহলেই তৈরি হবে দারুণ ডাম্পলিং। তবে দারুণ কঠিনও নয়। মাথায় রাখতে হবে কিছু টিপস।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ডাম্পলিং তৈরির প্রথম ধাপেই আগে মনস্থির করতে হবে যে আপনার কেমন পছন্দ? মানে ডাম্পলিংয়ের বাইরের অংশ আপনার শক্ত বা মোটা পছন্দ নাকি একেবারে পাতলা, নরম? যদি নরম তুলতুলে ডো (dough) বা ডাম্পলিংয়ের বাইরের অংশ চান তাহলে ময়দা মাখতে হবে গরম জলে। তাহলেই মুখে দিলে মিলিয়ে যাবে সেই ডাম্পলিং। অন্যদিকে, যদিও একটু কচকচে বা পুরু কোটিং পছন্দ হয় তাহলে ঠান্ডা জলে মাখতে হবে ময়দা। তবে যেটাই করুন, ময়দা মেখে সেটা কিন্তু আধ ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। তাহলেই সহজে ছোট ছোট টুকরো বের করতে পারবেন।
ডাম্পলিংয়ের পুরে মাংসের থেকেও বেশি যত্ন নিতে হবে সঙ্গের সবজির। সবজি থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বের হয়, ফলে রান্নার সময় ডাম্পলিং ভেঙে যেতে পারে। তাহলে কী করতে হবে? সবজির মিশ্রণে নুন দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এর ফলে তার থেকে বাড়তি জল বেরিয়ে যাবে যা ফেলে দিলেই পুর ভরতে সুবিধা হবে।
হাত খুলে ডাম্পলিংয়ে পুর না ভরাই ভালো। মনের সুখে সবজি আর মাংসের মিশ্রণ ভরতে থাকা একটা খুব সাধারণ ভুল। একটা ময়দার কোটিংয়ে এক চা চামচ পুর ভরলেই যথেষ্ট। তাহলে লেচিটা ডাম্পলিংয়ের আকারে মুড়তে ও সিদ্ধ হবে ভালো মতো। স্যুপে দিলে বা ভাজার ক্ষেত্রেও কম পুরই সুবিধাজনক। নয়তো ফেটে পুর বেরিয়ে যেতে পারে। তাহলে আর দেরি কীসের? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ডাম্পলিং।