লজ্জার পর লজ্জা কলকাতা ময়দানে! এর আগে ফুটবলার তারক হেমব্রমের চোটে ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল ক্রীড়ামহল। সেই লজ্জাকেও ছাপিয়ে এ বার ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠল ১২৭ বছরের পুরনো কলকাতা ফুটবল লিগে। বুধবার আইএফএ’র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় মেসারার্স ক্লাবের ফুটবলার মুসলিম মোল্লা এবং সান্নিক মুর্মু ও সহকারী কোচ রাজীব দের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার অভীক গুহও।
ইতিমধ্যেই সাময়িকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে উক্ত ৩ ফুটবলার এবং সহকারী কোচকে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের হাতে। যতদিন না পুলিশের তরফে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে, ততদিন এই নির্বাসন বহাল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও কলকাতা ফুটবলে গড়াপেটার ঘটনা এই নতুন নয়। গত ২০২৩ সালের কলকাতা লিগে টালিগঞ্জ অগ্রগামী এবং উয়াড়ি এসির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে টালিগঞ্জের শুভদীপ এবং উয়াড়ির মিকি ফার্নান্দেজ এবং অমিতাভ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাতেও তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়েছিল লালবাজারের হাতে। সেইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই ক্লাবকেই নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া গত বছর দিল্লি ফুটবল লিগেও উঠেছিল ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ। এ বার ফের একবার অভিযোগের তীর কলকাতা ফুটবলের দিকে।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ৪ জনের পাশাপাশি ছাড় পায়নি তাঁদের দলও। মেসারার্স ক্লাব এবং খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব, দুই দলকেই শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে আইএফএ। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কড়া ব্যবস্থা। তদন্তের রিপোর্ট যতক্ষণ না আসছে, কলকাতা লিগে অংশ নিতে পারবে না দুই ক্লাব।