এশিয়া কাপ নিয়ে জট কাটল অবশেষে। সেপ্টেম্বরেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। আগামী বছর যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চলেছে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। সে কারণে এই বছরের এশিয়া কাপ যে টি-২০ ফরম্যাটে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু মাঝখানে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে ভারতীয় বোর্ড যোগ দিতে আপত্তি জানানোয় অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে প্রতিযোগিতাটি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শেষপর্যন্ত বিসিসিআই ভার্চুয়ালি অংশ নেওয়ায় কাটল সেই মেঘ।
ঢাকার একটি হোটেলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ২৫ সদস্যের বৈঠকে ভারতীয় বোর্ডের তরফে অনলাইনে যোগ দিয়েছিলেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল। তাতেই কাটল জট। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে, প্রতিযোগিতার আয়োজক বিসিসিআই। তবে খেলাগুলি হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তান দলকে।
অন্যদিকে টিম ইন্ডিয়া গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে খেলায় পাক বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল আগামীতে তারাও ভারতে দল পাঠাবে না। সেই কারণেই মরুদেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এশিয়া কাপ।
যদিও এরপরেও পুরোপুরি কাটছে না বিতর্কের রেশ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চায়নি ভারত। ম্যাচটি ভেস্তে যাওয়ায় দানা বেঁধেছে বিতর্ক। শাহিদ আফ্রিদি, সলমন বাটরা একের পর এক কটাক্ষের তির ছুড়েই চলেছেন যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের দিকে। সেই বিতর্ক নতুন করে ফিরে আসতে পারে আসন্ন এশিয়া কাপেও। কারণ, এই প্রতিযোগিতাতেও ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে বলে খবর।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ফাইনাল ২১ তারিখ। এখনও চূড়ান্ত সূচি ঘোষিত না হলেও ভারত-পাকিস্তানকে যে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের জনৈক আধিকারিক। অন্যদিকে এসিসি’র পাকিস্তানি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “খুব শীঘ্রই সকল বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু আলোচনা বাকি রয়েছে। তবে বৈঠকে ২৫ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সকলেই একমত হয়েছেন।”