চলতি মাসের শুরুতেই আগেই আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনিল আম্বানিকে ‘উইলফুল ডিফল্টার’ বা জালিয়াত ঘোষণা করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই )। ডিসেম্বর ২০২৩, মার্চ ২০২৪ এবং সেপ্টেম্বর ২০২৪, এই তিনটি সময়ে এসবিআই রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিল। কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রাপ্ত জবাব পরীক্ষা করে ব্যাঙ্ক জানায় যে, ঋণের শর্তাবলী যথাযথভাবে মানা হয়নি। সেই সঙ্গে ঋণ-অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বহু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। বিরাট একটি আর্থিক অনিয়ম নিয়ে সিবিআই দুটি এফআইআর করার পরই তদন্তভার নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
কিন্তু এবার শুধু অনিল আম্বানি নন, ইডির রেডারে যুক্ত অন্যান্য কোম্পানিগুলিও। অনিল আম্বানির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানির দপ্তরে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালাল ইডি। মূলত অর্থপাচার এবং ঋণ জালিয়াতির অভিযোগেই মুম্বইয়ের একাধিক অফিস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে ইডি।
তারা এই সময় প্রায় ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সূত্রের খবর, ওই ৩৫ জায়গায় ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনিল অম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ ও ইয়েস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এই তদন্ত অভিযান চালাচ্ছে ইডি। ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি আর্থিক তছরুপের অংশ হিসাবে এই অভিযান চালাচ্ছে ইডি, জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি দীর্ঘদিন ধরেই ঋণ বাবদ নেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের মুখে ছিল। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হলেও সেটি ব্যবসায়িক খাতে ব্যয় না করে অন্য খাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে সঠিক হিসেব না থাকার কারণে আর্থিক গরমিল ধরা পড়েছে।
এই প্রেক্ষিতেই ইডির দপ্তর একাধিক নথি ও অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে। বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইতিমধ্যেই বহু কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ, ফাইল ও ইমেল লগ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযানের সময় কিছু আর্থিক পরামর্শদাতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে আরও কয়েকটি কোম্পানি বা ব্যক্তির নাম উঠে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Leave a comment
Leave a comment