ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)এর বড় সিদ্ধান্ত। এক সহকারী ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করল আরবিআই। আরবিআই তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। আরবিআইএর রোষানলে পড়া ব্যাঙ্কটি হল কর্ণাটকের কারবার আরবান কে-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে, এই ব্যাঙ্ক খোলা থাকার অর্থ গ্রাহকদের পুঁজির সর্বনাশ।
আরবিআই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছে, চলতি মাসের ২২ তারিখ এই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হল। পাশাপাশি সহকারী কমিটির রেজিস্টার, কর্ণাটককে এই ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিতে এবং একজন লিকুইডেটর নিয়োগ করার অনুরোধ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারবার সহকারী ব্যাঙ্কের সমস্ত লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আরবিআই।
বলা হচ্ছে ব্যাঙ্কের কাছে যথেষ্ট পুঁজির অভাব এবং ভবিষ্যতে আয়ের কোনো সম্ভাবনা না থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন এক্ট ১৯৪৯-এর ধারা ৫৬ এবং ধারা ৫ (বি) অনুসারে কারবার সরকারি ব্যাঙ্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শীর্ষ ব্যাঙ্ক পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই ব্যাঙ্ক নিজের আর্থিক দৈনদশার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরাতে অসমর্থ। এবস্থায় যদি ব্যাঙ্কের কাজ চলতে থাকে তাহলে তা গ্রাহকদের জন্য খুবই খারাপ হবে।
তবে এই ব্যাঙ্কের বর্তমান গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের সুরক্ষার জন্য DICGC নামক এক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুসারে যদি কোনো ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায় বা শীর্ষ ব্যাঙ্কের কোপে পড়ে তাহলে সেই ব্যাংকার গ্রাহকদের ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা ইন্স্যুরড থাকে। যে দিন সেই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হয়ে সেই দিন পর্যন্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থের সুদ প্রদান করা হয়। সে টাকা সেভিং অ্যাকাউন্টে হোক বা ফিক্স ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে।