“রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে, এই বার্তা পৌঁছে দিন পরিবারগুলোর কাছে”। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সরকারি যা নিয়ম রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ মুখ্যসচিব দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব জরুরি নির্দেশ দিলেন সমস্ত জেলা প্রশাসনকে। জেলাশাসকদের নিয়ে শুক্রবার আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, “বজ্রপাতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারগুলোর পাশে থাকুন। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে , এই বার্তা দিন প্রশাসনের তরফে।” আগামী কয়েক দিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়।
নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদীর জলস্তরের উপরে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী আগেভাগে মজুত রাখার কথাও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাংলার বাড়ি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। মোটামুটি মাস আটেকের পরেই বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে। তার আগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আরও একবার মুখ্যসচিব সমস্ত জেলা প্রশাসনকে দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
এদিকে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে কাজের গতি নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ মুখ্য সচিবের। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া সত্ত্বেও বাংলার বাড়ির কাজের গতি সন্তোষজনক নয়, অভিযোগ মুখ্যসচিবের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলার অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এই দুই জেলা সমেত অন্যান্য জেলায় এই কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাধিক বাড়িতে এখনও প্রথম কিস্তির টাকায় লিন্টন পর্যন্ত কাজই সম্পূর্ণ হয়নি, এই অভিযোগ উঠে আসে বৈঠকে। বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।