যাঁরা বৃদ্ধ বয়সে নিয়মিত আয় নিয়ে চিন্তিত তাঁদের জন্য এই এই সরকারি যোজনা খুবই সহায়ক। অটল পেনশন যোজনা নামের এই প্রকল্পটি অবসর গ্রহণের পর খুবই উপকারী হতে পারে। এই যোজনা আপনার ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত নির্দিষ্ট পেনশন দেবে। বিনিময়ে আপনাকে প্রতিমাসে দিতে হবে শুধুমাত্র ২১০ টাকা। মৃত্যুর পর পেনশনটি স্ত্রী/স্বামীকে দেওয়া হয় এবং তার পর মনোনীত ব্যক্তি পুরো টাকা পান।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক চালু করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ৬০ বছর বয়সের পর দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের নাগরিকদের প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন প্রদান করা। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি যে কোনও নাগরিক এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারেন এবং প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করতে পারেন, সরকার এতে কিছু পরিমাণ অবদান রাখে, যা তহবিলকে শক্তিশালী করে। তবে পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করে স্কিমে কত টাকা জমা হয়েছে তার উপর।
অটল পেনশন যোজনাতে প্রতি মাসে একটি ছোট পরিমাণ টাকা জমা করে, অবসর গ্রহণের পরে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক কারও বয়স ১৮ বছর এবং প্রতিদিন মাত্র ৭ টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে ২১০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন। কেউ যদি প্রতি মাসে মাত্র ৪২ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে ১০০০ টাকা পেনশনের সুবিধা পেতে পারে। এই স্কিমে কমপক্ষে ২০ বছর বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। ৪০ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করলে, ৬০ বছর বয়সে পেনশন পেতে শুরু করবেন।
এই যোজনা শুরু করতে হলে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪০ বছর। এছাড়াও, আবেদনকারীর একটি সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যা আধার কার্ড এবং কেওয়াইসি-এর সঙ্গে সংযুক্ত। শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। প্রথমে, নিজেদের নিকটতম ব্যাঙ্ক শাখায় গিয়ে অটল পেনশন যোজনার ফর্মটি তুলে আনুন।
ফর্মে জিজ্ঞাসিত তথ্য যেমন নাম, বয়স, আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ইত্যাদি পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করতে হবে। তারপর ফর্ম জমা দেওয়ার পরে, ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারা সেই তথ্য যাচাই করবেন। এই সময়, জিজ্ঞাসা করা হবে যে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত কোনও পেনশন স্কিমটি বেছে নিতে চান। সব তথ্য ঠিক থাকলে আপনার অ্যাকাউন্টটি স্কিমের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে ব্যাঙ্কের তরফে।