পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ জারি রয়েছে। এমনটাই মন্তব্য ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যে কোনও হামলার জবাব সর্বদা সেনা প্রস্তুত বলেও মন্তব্য। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে বিশেষ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে আসে ভারত। এমনকী পাক বায়ুসেনা ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এদিন সেই অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে কার্যত পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। আজ শুক্রবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। আর সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন। সিডিএস এদিন আরও বলেন, যুদ্ধে কোনও রানার্স আপ হয় না। সেনাবাহিনী এবং জওয়ানদের সবসময় তৈরি থাকতে হয়। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও অব্যাহত রয়েছে। সিডিএসের কথায়, ‘আমাদের প্রস্তুতি (পড়ুন-সেনাবাহিনীর) একেবারে শীর্ষে রয়েছে’।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যে বহুবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের কথা উঠে এসেছে। এমনকী এই অভিযান যে এখনও অব্যাহত রয়েছে সেই বক্তব্যও উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসাবেই দেখা হবে বলেও ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। সেখানে দাঁড়িয়ে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের এদিনের মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন রাজধানীতে হওয়া ওই সেমিনারে আগামী দিনে যুদ্ধের বদল নিয়েও বক্তব্য রাখেন। সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান জানান, প্রযুক্তির উন্নতি ঘটছে। এক্ষেত্রে সেনা জওয়ানদের যুদ্ধের তিনটি স্তর, যেমন কৌশলগত, অপারেশনাল এবং বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ বলবান হওয়ার কথাও এদিন বলেন সিডিএস। তাঁর কথায়, বর্তমানে আমরা সেনাবাহিনীতে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখছি। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের সঙ্গে তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধ পদ্ধতি মিলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ঢুকে এই অভিযান চালায় ভারত। ধ্বংস করে দেওয়া হয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈইশ সদর দফতর। ভারতের এই প্রত্যাঘাতে একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়।