ফের দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি। আগামী ৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমস্ত ক্লাব-সংগঠন এবং পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পুজো বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কলকাতা পুরসভা, দমকল, সিইএসসি, পুলিস ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। আমন্ত্রিত থাকবেন পুজো কমিটির প্রতিনিধিরাও।
প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর পুজোর আর্থিক অনুদান হিসেবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্লাব সংগঠনকে ৮৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ক্লাব সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা অনুদানের আবেদন করা হলেও রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে ৮৫ হাজার টাকা দিতে পেরেছে রাজ্য। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে অনুদান বাড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে। আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই চলতি ২০২৫ সালের পুজোর আর্থিক অনুদান ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে নিদেন পক্ষে এক লক্ষে পৌঁছতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন ও পুজো উদ্যোক্তারা। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষ্যে এ বছর অনুদান বাড়তে পারে বলে আশা পুজো উদ্যোক্তাদের।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে পরিবেশবান্ধব পুজো, শব্দবিধি, যান চলাচল ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক দিক নির্দেশও দেওয়া হবে।
এই বছরের বৈঠকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দিকে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে তুলে ধরা। উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক বলে জানিয়েছে নবান্ন।