অনলাইন টিকিট বুকিং ব্যবস্থায় অপব্যবহার রুখতে ভারতীয় রেল এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল। আইআরসিটিসির ২.৫ কোটির বেশি ইউজার আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে দিল রেল। সন্দেহজনক বুকিং প্যাটার্ন এবং ভুয়ো ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করার পর এই আইডিগুলিকে ডিঅ্যাক্টিভ করা হয়েছে। সাংসদ এ ডি সিংহের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
তদন্তের পর এই ২.৫ কোটি আইডি ভুয়ো বলে জানতে পারে কেন্দ্র। জানা গেছে, এই সমস্ত ভুয়ো আইডিগুলি ডিঅ্যাক্টিভ করার আগে পর্যন্ত তৎকাল বুকিং-এ নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। প্রায়ই তৎকাল বুকিং উইন্ডো খোলার কয়েক মুহূর্তে সমস্ত টিকিট গায়েব অর্থাৎ বিক্রি দেখাচ্ছিল। আসলে বাটস ব্যবহার করে এজেন্টরা সেই সমস্ত টিকিট গায়েব করে দিচ্ছিলেন। সাধারণ যাত্রীরা সেই টিকিটের নাগাল পাচ্ছিলেন না। পরে সেগুলি চড়া দামে কিনতে হচ্ছিল তাঁদের।
এ ডি সিংহের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, বুকিং সংক্রান্ত গণ্ডগোল বন্ধ করতে সম্প্রতি আইআরসিটিসির ২.৫ কোটির বেশি ইউজারের আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে কনফার্ম টিকিট বুকিং এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাকে উৎসাহ দিতে আরো নানান পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল— রিজার্ভ টিকিট অনলাইনে বা (পিআরএস) পদ্ধতির মাধ্যমে কাউন্টারে ‘আগে এলে আগে পাবে’ ব্যবস্থাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে তৎকাল পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আধার ভেরিফাই ইউজাররাই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে পারবেন।
তৎকাল রিজার্ভ খোলার ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনও এজেন্ট টিকিট কিনতে পারবেন না। এমনকী ইমার্জেন্সি কোটা অর্থাৎ সাংসদ, উচ্চ আধিকারিক, মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি এবং সিনিয়র সিটিজেনদের এবার থেকে ভ্রমণের দিন নয়, একদিন আগে ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট কাটার জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে।
Leave a comment
Leave a comment