অপারেশন সিঁদুর নিয়ে এবার সংসদে ঝড় উঠতে চলেছে। সোমবার লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ১৬ ঘন্টার আলোচনা কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছে। মঙ্গলবার অপারেশন সিদুর নিয়ে আলোচনা হবে রাজ্যসভাতেও। আর সংসদের দুই কক্ষেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারত সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে শুরু করে বিদেশ নীতির ব্যর্থতা, এই অপারেশনে মার্কিন সরকারের হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের লাগাতার যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিবৃতি ইত্যাদি একগুচ্ছ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিপাকে ফেলতে মরিয়া জোটবদ্ধ ‘ ইন্ডিয়া ‘। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের সাংসদরা ভারত-পাক যুদ্ধ, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরোধী লংঘন, সন্ত্রাস বন্ধে প্রতিবেশী দেশগুলি সহ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে চর্চা করেছেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে কথা বলে ভারতের বিদেশ নীতি তথা সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের এবং তাঁদের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন বিরোধীপক্ষরা। এমনকী আলোচনায় বাদ যায়নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের বক্তব্য এবং দেশে দেশে ভারতের সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের মনোভাবের কথা সংসদের উভয় কক্ষে তুলে ধরতে চান বিরোধীপক্ষের সাংসদরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আগেই আলোচনা করা উচিত ছিল কেন্দ্রের। এজন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের প্রস্তাবের সায় দেয়নি। তবুও দেরিতে হলেও এই আলোচনা দেশের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত ২৬ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতি বা অপারেশন সিঁদুরের বিরতির মধ্যস্থতা তিনিই করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন জয়রাম। যদিও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ। আর জয়রামের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, যে সোমবার লোকসভায় এবং মঙ্গলবার রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় কোমর বেঁধে নামতে চলেছেন বিরোধী সাংসদরা। সেক্ষেত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ে এবং বিদেশনীতির স্বার্থে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বক্তব্য বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করা হচ্ছে।