বাংলাদেশে ভোট কবে হবে, তা নিয়ে চর্চার শেষ নেই।দীর্ঘদিন ধরেই এই ইস্যুতে সরব সেদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বারবার পিছিয়ে গেলেও এবার অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সঠিক তারিখ জানিয়ে দিতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকারের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, এমনটা জানিয়ে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করবে সরকার। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও নির্বাচিত সরকার নেই বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হলেও তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে নির্বাচনের নাম নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বারবার ইউনূসের কাছে দরবার করেছে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রথমে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচন করার দাবি তুলেছিল। পরে লন্ডনে খালেদা পুত্র ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের পর তা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে করার ব্যাপারে সুপারিশ করে সেই দল। নির্বাচন পিছনোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
এমন পরিস্থিতিতেই আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মাধ্যমে ভোটের চূড়ান্ত দিন ঘোষণার কাজটি প্রধান উপদেষ্টা সেরে ফেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এমনটা মনে হচ্ছে? কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, জুলাই সনদের খসড়া প্রায় প্রস্তুত হয়ে যাওয়ায় ৫ আগস্টের মধ্যে তা ঘোষণা করার বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত। সেটা ভালোয় ভালোয় হয়ে গেলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করবে ইউনূস সরকার।
Leave a comment
Leave a comment