বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ! সপাট জবাব অভিনেত্রী জারিন খানের। বয়স নিয়ে কটাক্ষের শিকার জারিন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর পোস্টে এক নেটিজেন কমেন্ট করে লেখেন, ‘বিয়ে করে নাও, বুড়ি হয়ে যাচ্ছ।’ অনেকের মতোই এই মন্তব্য এড়িয়ে যেতে পারতেন অভিনেত্রী। তবে তা না করে জবাব দিলেন তিনি। মজা করেই উত্তর দিলেন সেই মানসিকতার বিরুদ্ধে যাতে মনে করা হয় যে বিয়েই সমস্ত ‘সমস্যা’র সমাধান। ঠিক কী বললেন অভিনেত্রী?
বিয়েকে সমাজে ‘সব সমস্যার সমাধান’ হিসেবে দেখা হয়—এই ধারণার তীব্র সমালোচনা করলেন অভিনেত্রী জারিন খান। তিনি বলেন, বিশেষ করে ভারতীয় সমাজে, যখন কেউ জীবনে স্থির নয় বা “কিছু করছে না”, তখন পরিবারে একরকম অভ্যাসে দেখা যায়—“শাদি করাও”। জারিন প্রশ্ন তোলেন, “বিয়ে কীভাবে সাহায্য করতে পারে?” তাঁর মতে, “যদি কেউ নিজেরই যত্ন নিতে না পারেন, তাহলে আরেকজনকে সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে টেনে আনা কোনও সমাধান নয়—বরং এতে এক জীবনের সঙ্গে আরও একটি জীবন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিয়েকে সামাজিক চাপের বদলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গা হিসেবে দেখতে অনুরোধ জানান।
অভিনেত্রী জারিন খান আরও বলেন, এখনও বহু পরিবারে মেয়েদের স্বাধীনতাকে ‘ভয়’ বা ‘হুমকি’ হিসেবে দেখা হয়। “যদি কোনও মেয়ে খুব বেশি স্বাধীন হয়ে ওঠে বা নিজের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করে, তখন পরিবারগুলো ভয় পায়। তখন বলা হয়, ‘ও তো আমাদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ আর সেই ভয় কাটানোর সমাধান? আবারও—বিয়ে দিয়ে দাও।” জারিন মন্তব্য করেন, “বিয়ে কি কোনও ম্যাজিক নাকি? আমি যা দেখেছি, আজকাল বেশিরভাগ বিয়েই দুই-তিন মাস টিকছে না। সুতরাং, বিয়ে সব সমস্যার সমাধান নয়।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বিয়ে নয়, মেয়েদের আত্মনির্ভরতা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারই হওয়া উচিত সমাজের অগ্রাধিকার। তাঁর এই উত্তর আপাতত প্রশংসিত নেটমাধ্যমে।
২০১০ সালে সলমন খানের বিপরীতে ‘বীর’ ছবির হাত ধরে ডেবিউ করেন জারিন খান। তবে প্রথম থেকেই মোটামুটি মানুষের সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি যার মধ্যে রয়েছে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে অযাচিত তুলনাও। ধীরে ধীরে ‘হাউজফুল ২’, ‘হেট স্টোরি ৩’ বা ‘১৯২১’-এর মতো ছবির মাধ্যমে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। হিন্দি ছবি ছাড়াও পাঞ্জাবী, তামিল, তেলুগু ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। প্রায়ই তিনি ‘বডি শেমিং’-এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। মেয়েদের উপর সমাজের চাপিয়ে দেওয়া নিয়মকানুন বা আশা আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের ‘হম ভি অকেলে তুম ভি অকেলে’ ছবিতে।