অভিযোগ ছিলই, অনলাইনে তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই কিস্তিমাত। অনলাইনেই সব তথ্য যাচাই করতে গিয়েই ধরা পড়ল শতাধিক ভুয়ো ভোটারের নাম। টাকার বিনিময়ে ভুয়ো ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে আগেই অভিযুক্ত হয়েছিল কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তর। এবার কমিশনের স্ক্যানারে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার রাজারহাটের ইআরও বা ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার।
বারংবার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কমিশনের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই বেশ কিছু ইআরও ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ চালাচ্ছিলেন বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে খবর এসেছে। অনলাইনে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে সেই অবৈধ কাজের প্রমাণ পায় সিইও দপ্তর। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছিলেন ময়না, বারুইপুর ও রাজারহাটের ইআরওকে। কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছে কেন? কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয় তিন ইআরও-কে। কোন নথির ভিত্তিতে এইসব নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু কোনভাবেই এই তিন ইআরও সদুত্তর দিতে পারেননি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এই নথি পুনরায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।
তবে কমিশন সূত্রে খবর, যেহেতু ওই ভোটারদের যথাযথ নথি এবং তথ্য পাওয়া যায়নি, তাই এধরনের শতাধিক ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। পাশাপাশি কমিশনের আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী এই তিন ইআরও-র বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। দিনের পর দিন যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের কাছে বারবার দ্বারস্থ হয়ে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলছে, সেই জায়গা থেকে এবার কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।