আর মাত্র দু’দিন বাকি, তারপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক ফের কার্যকর হওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে। এই অবস্থায় ভারত ও আমেরিকার সরকারি আধিকারিকরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে যাতে কোনও সমঝোতায় পৌঁছনো যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে চলছে জোরদার আলোচনা।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে কোনও চুক্তির সম্ভাবনাই স্পষ্ট নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন, আরও আলোচনা প্রয়োজন, এবং এখনই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবুও, একেবারে শেষ মুহূর্তে কোনও চমকপ্রদ সমঝোতার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
গ্রিয়ার বলেন, “আমরা আমাদের ভারতীয় সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সবসময়ই গঠনমূলক আলোচনাই হয়েছে।” কিন্তু এই আলোচনায় কোনও আপস বা চুক্তি না হয়, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যে।
মূলত শুল্ক হারের তারতম্য, কৃষিপণ্য বিশেষ করে জেনেটিকালি মডিফায়েড বা জিএম সয়াবিন ও ভুট্টা আমদানির বিষয়ে ভারতের অনীহা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে। ফলে আলোচনায় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই আলোচনা ভেস্তে যায়, তাহলে দুই দেশের সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এবং ভারতের নির্দিষ্ট কিছু রপ্তানি পণ্য মার খেতে পারে। পরবর্তী আনুষ্ঠানিক আলোচনা ২৫ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা। তবে তার আগেই কোনও আপস-মীমাংসা হয় কি না, এখন সেটাই দেখার বিষয়।