সুপারপাওয়ার হতেই হবে। দাদাগিরিটা বজায় রাখতে হবে। জিনপিং হোক বা পুতিন, জেলনস্কি হোক বা মোদি, ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতেই হবে। আর এর মধ্যে নোবেল শান্তিটা যদি চলে আসে, তাঁকে আর পায় কে! সেই লক্ষ্যেই এবার বড় পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সাপের লেজে পা দিলেন। পুতিনকে চমকালেন। তাঁকে বাগে আনতে এবার যুদ্ধ বন্ধের দিনক্ষণ বেঁধে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্টকে আগের নির্ধারিত ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন সময় দিচ্ছেন তিনি। স্কটল্যান্ডে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কাজের কাজ তেমন কিছু করতে পারেননি। রাশিয়া কোনও চুক্তিতে না পৌঁছলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড। এতে কাজের কাজ দূরে থাক, উল্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে ট্রাম্পের। তবে এখন আর পুতিনের সঙ্গে কথা বলার কোনও আগ্রহ তাঁর নেই বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আর্জিই সার। সে সবে কান না দিয়ে নিজের কাজ করে চলেছেন পুতিন। ইউক্রেনের শহরগুলোতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। একদিন আগেই রাশিয়া ইউক্রেনে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন, ৪টি ক্রুজ মিসাইল এবং ৩টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। রাশিয়ার প্রসিডেন্ট তাঁর আগ্রাসন চালিয়ে যেতে চান এবং কোনওভাবেই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না বলে আগেই অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন
পুতিনকে বাগে আনতে পশ্চিমি দুনিয়াকে আরও কঠোর হওয়ার জন্য আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এবার ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির চরমসীমার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রে ইয়ারমাক। জেলেনস্কিও এই বার্তাকে সমর্থন করেন বলে জানিয়েছেন ইয়ারমাক। ট্রাম্পের ঘোষণার পর আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড় মোড় নিতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।