আর লড়াই নয়, কদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়ে গেল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বিতর্কিত সীমান্ত সমস্যার জেরে তৈরি হওয়া সংঘর্ষ বন্ধ করতে ও সমাধান খুঁজতে আলোচনায় বসেছিল দুই দেশ। সিএনএন-এর তথ্য অনুসারে এই আলোচনায় মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান-এর বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া।
কুয়ালালামপুর থেকে একটু দূরে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক শহর পুত্রাজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হয় এই বৈঠক।উপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।থাই ও কম্বোডিয়ান সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।হাজার হাজার থাই ও কম্বোডিয়ার নাগরিক ঘরছাড়া। সংঘর্ষ চলেছে চুক্তি স্বাক্ষরের ঠিক আগেও। জানা গেছে স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
একদিন আগেই যুদ্ধ থামাতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে কথায় দুই দেশই অবিলম্বে বৈঠক করতে ও যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত শান্তির পথ খুঁজতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়ে দেন তিনি। লড়াই বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে তিনি আগ্রহী নন বলেও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এর পরেই দুদেশ সীমান্ত সংঘর্ষে ইতি টানায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাময়িক স্থিতি ফিরল বলেই মনে করছেন অনেকে।
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে হিংসা আজ নতুন নয়।যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, পুরনো সীমান্ত বিরোধ ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি যে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠবে না, সেই নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a comment
Leave a comment