অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেল বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবী। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই জামিন দেন।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালেই হাইকোর্টে আপিল করে ফারাবী।
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাটি ছিল বহুল আলোচিত এবং বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার উপর হামলার অন্যতম প্রতীক। আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই উদ্বিগ্ন যে, এতে কি বিচারের ধারাবাহিকতায় কোনও প্রভাব পড়বে না?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করে ফারাবী। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করে ফারাবী, যা শুনানির জন্যে ওঠে। আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছে ফারাবী। সে ১৬৪ ধারায় কোনও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। মামলায় চারজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেনি।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। মৌলবাদীদের এই হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই রায়ের পরে যে প্রশ্নগুলো উঠে আসছে তা হল ফারাবীর জামিনে মুক্তি কি মামলার নিষ্পত্তিকে দীর্ঘায়িত করবে? পাশাপাশি বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার উপর হামলাকারীদের ক্ষেত্রে এই রায় বর্তমান বিচার ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলবে।
Leave a comment
Leave a comment