ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। মানালো মার্কেজের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে কাকে বসাতে চলেছে সর্বভারতীয় ফেডারেশন? এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল সঞ্জয় সেন, অ্যান্টিও হাবাসের মতো নাম। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটে গেল শুক্রবার। খুব শিগগিরই কাফা নেশনস কাপ খেলতে উড়ে যাবেন সুনীলরা। তার আগে ভারতীয় দলের হেড স্যার হিসেবে নিযুক্ত হলেন খালিদ জামিল। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই জাতীয় দলের দ্বিতীয় স্বদেশি কোচ।
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ৪৮ বছরের খালিদ জামিল। এআইএফএফ সূত্রে জানা যায়, মানালো মার্কেজ বিদায় নেওয়ার পর থেকে মোট ১৭০ জন ভারতীয় দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে রবি ফাউলার কিংবা অ্যান্টোনিও হাবাসের মতো নামও। তবে এআইএফএফের জাতীয় দলের ডিরেক্টর সুব্রত পাল জানিয়ে দেন, সবক’টি বায়োডেটা স্ক্রুটিনি করে দেখার পর তিনজনের নাম পাঠিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। এই তিনজন হলেন খালিদ জামিল, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং স্টেফান তারকোভিচ।
এই তিনজনের মধ্যে আবার স্বদেশি কোচ জামিলের পাল্লাই বেশি ভারী বলে শোনা গিয়েছিল। কারণ, এই মুহূর্তে বিদেশি কোচকে মোটা বেতন দেওয়ার ক্ষমতা ফেডারেশনের নেই। অবশেষে সেই গুজবেই সিলমোহর পড়ল। সুখবিন্দর সিংয়ের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে জাতীয় দলের কোচ নির্বাচিত হলেন খালিদ জামিল। মাঝখানে যদিও অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে ছিলেন আর্মান্দো কোলাসো এবং সাভিও মেদেইরা। তবে জামিল দায়িত্ব পাচ্ছেন পূর্ণ সময়ের জন্যই।
ভারতীয় ফুটবলে কোচ হিসেবে যথেষ্টই সুনাম রয়েছে জামিলের। ২০১৭ সালে আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি আইএসএলেও কোচ হিসেবে যথেষ্ট ভালো রেকর্ড খালিদের। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি এবং জামশেদপুরকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে জাতীয় দলে তাঁর কাজ যে খুব একটা সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। মানালো মার্কেজের কোচিংয়ে ভারত হংকংয়ের কাছে হেরেছে। সেইসঙ্গে ড্র করেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে খালিদ জামিলের জন্য।