ক ‘দিন আগেই যুদ্ধ বিরতির জন্য রাশিয়াকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়সীমা এখনও শেষ না হলেও পশ্চিমী দুনিয়ার হুমকিকে পাত্তা না দিয়েই ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বেশ কিছুদিন ধরেই ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।
এমনই হামলা চলেছিল বৃহস্পতিবারও। কিয়েভের কর্তৃপক্ষ জানায় যে, ওই রাতে রাশিয়ার হামলায় দুই শিশু সহ ১৬ জনের মৃত্যু ও কমপক্ষে ১৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে শুক্রবার স্বিয়াতোশিনস্কি জেলার একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬-এ পৌঁছেছে।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত রাশিয়া ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ৮টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মূল লক্ষ্যই ছিল কিয়েভ। আপাতত যা তথ্য, তাতে যুদ্ধবিরতির জন্য সময় বেঁধে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর হামলা জোরদারই করেছে রাশিয়া। দিনকয়েক আগেই ট্রাম্প রাশিয়াকে যুদ্ধ থামানোর জন্য ১০ থেকে ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার হেলসিঙ্কি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সম্মেলনে ভার্চুয়াল ভাষণে রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দেন জেলেনস্কি। বহুদিন ধরেই জেলেনস্কির অভিযোগ পুতিন যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট। তাঁর বার্তা “ বিশ্ব যদি রাশিয়ার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চেষ্টা না করে, তবে এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও মস্কো তার প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোকে অস্থির করবে।”
সদ্য যুদ্ধ থামানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনীতিকেও মৃত বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এসব কিছুই কানে তুলছে না পুতিনের নেতৃত্বে থাকা রাশিয়া।বৃহস্পতিবারই মস্কো দাবি করেছে যে, তারা পূর্ব ডোনেৎস্ক অঞ্চলের শহর চাসিভ ইয়ার দখল করেছে। যদিও জেলেনস্কি এই দাবিকে ‘রাশিয়ার মিথ্যে প্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।