রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করল ভারত। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে মিলছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত এক সপ্তাহে ভারতের তেল সংস্থাগুলিই রাশিয়া থেকে খনিজ তেল আমদানি করছে না। ট্রাম্পের শুল্ক-গুঁতোর কারণেই কি এমন সিদ্ধান্ত? মুখে কুলুপ সব পক্ষের।
রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনা ভারত বন্ধ না করলে, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরেই গত এক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে ভারতের তেল শোধনাগারগুলি। দেশের প্রধান চারটি তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম ও ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত খনিজ তেল কেনার অর্ডার করেনি, এমনই খবর রয়টার্স সূত্রে।
এই সংস্থাগুলি তেল শোধনের জন্য রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম কিনত। কিন্তু বর্তমানে তারা সৌদি আরব সহ পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার একাধিক তেল উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে খনিজ তেল কিনতে চাইছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের খনিজ তেলের দৈনিক চাহিদা ৫২ লাখ ব্যারেল। এর ৬০ শতাংশ জোগান দেয় রাশিয়া। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারত এখন সমুদ্রপথে রফতানি করা রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়া থেকে যারা তেল কিনবে, সেই দেশগুলোর ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি গত বুধবার আমেরিকায় ভারতের রফতানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। যদিও রয়টার্স-এর এই সংবাদ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। দেশের খনিজ তেল সংশোধনকারী সংস্থাগুলিরও মুখে কুলুপ।
এখন আশঙ্কা এটাই যে, চেনা দোকান বাদ দিয়ে নতুন দোকানে গেলে ক্রেতার যেমন ঠকার সম্ভাবনা থাকে, তেমনই ভারতকে অন্য দেশ থেকে তেল কিনতে গেলে দর কী হবে? চড়া দরে কিনতে হলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ফের পেট্রোপণ্যের দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। আর সেক্ষেত্রে কোপটা সাধারণ মানুষের ঘাড়েই পড়বে। আগুন ধরবে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে।