১০০ দিনের কাজে বাংলার বকেয়া ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেই টাকা আটকে রাখার কথা মেনে নিল মোদি সরকার। মোদি সরকারের দাবি, কেন্দ্রের নির্দেশ পালন না করার অভিযোগে ওই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, অবিজেপি রাজ্য হওয়ার কারণে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করছে মোদি সরকার।
শুক্রবার রাজ্যসভায় ১০০ দিনের কাজে বাংলার বকেয়া সম্পর্কে জানতে সরকারকে প্রশ্ন করেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। সেই প্রশ্নের উত্তরে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসওয়ান জানান, ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে বাংলার ১০০ দিনের কাজে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। যা গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বাংলার আটকে থাকা টাকার পরিমাণ ৩ হাজার ৩৮ কোটি। মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের নির্দেশ না মানার কারণেই এই টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য প্রথম থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি দিল্লিতেও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এই নিয়ে আন্দোলনও করেছেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। তাই এই ঘটনায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব তৃণমূল ।
জুলাই মাসে ১০০ দিনের কাজ, আবাস -সহ একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব পি উলগানাথন হাজির ছিলেন দিল্লিতে । তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অর্থসচিব প্রভাত মিশ্রও। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশ কুমারের সঙ্গে আলাদভাবে বাংলা নিয়ে আলোচনার কথা ছিল তাঁদের । কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। মেটেনি সমস্যা। এতদিন বাংলাকে বঞ্চনার কথা না মানলেও এবার সরাসরি রাজ্যসভায় বাংলার টাকা আটকে রাখার কথা স্বীকার করে নিল মোদি সরকার।
Leave a comment
Leave a comment