তিনি বলিউডের কিং খান। তাঁর অভিনয়ে মোহিত গোটা বিশ্ব। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাটানোর পর অবশেষে পেলেন জাতীয় পুরস্কার। ‘জওয়ান’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতলেন তিনি। এই প্রথম। তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মান ভাগ করে নিয়েছেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ ছবির অভিনেতা বিক্রান্ত মাসের সঙ্গে।
‘কিং’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কাঁধে চোট পান শাহরুখ। তবুও শুক্রবার রাতে এক বিশেষ ভিডিওর মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। জুরি বোর্ড, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক… এই সম্মানের জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ভালোবাসায় আপ্লুত। আজ সবার জন্য হাফ এ হাগ।’ ভিডিওটিতে দেখা যায়, চোট থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে হাত ছড়িয়ে পোজ দিচ্ছেন।
‘জওয়ান’ ছবির পরিচালক অ্যাটলির উদ্দেশে শাহরুখ বলেন, ‘অ্যাটলি স্যার, আপনি যেমন বলেন, ‘মাস’!’ আবেগঘন সেই বার্তায় তিনি ধন্যবাদ জানান নিজের পরিবার, অনুরাগী, পরিচালক, জাতীয় পুরস্কারের জুরি বোর্ড এবং ভারত সরকারকে। তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার আপনাদের জন্য।’ ভিডিওটির শেষে অভিনেতা জানান, খুব তাড়াতাড়ি তিনি আবার বড় পর্দায় ফিরবেন। অনুরাগীরা তাঁর এই বার্তা, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
৩৩ বছরের কর্মজীবনে এই প্রথম শাহরুখ জাতীয় পুরস্কার পেলেন। এই খবরে অবশ্য দুই ভাগে বিভক্ত গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। বেশিরভাগই প্রিয় তারকার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তবে অনেকের মতে ‘জওয়ান’ নয়, তাঁর এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল ‘স্বদেশ’ বা ‘চক দে’ ছবির জন্য। শুধু সাধারণ মানুষ নন, এই আবহে একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কিং খান নিজেও মনে করেন যে ২০০৫ সালের ‘স্বদেশ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য ছিল। ওই বছরই সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান সইফ আলি খান। ভিডিওয় শোনা যাচ্ছে শাহরুখ নাম না করে বলছেন সইফের থেকে তিনি বেশি ডিজার্ভ করেন ওই সম্মান। ভাইরাল হওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমার মনে হয় ‘হাম তুম’ খুব ভালো ছবি। ওই ছবির অভিনেতা জাতীয় পুরস্কার পেলেন যদিও আমার মনে হয় পুরস্কারটা আমার পাওয়া উচিত ছিল। সেটা অন্য গল্প!’
প্রসঙ্গত আপাতত ‘কিং’ ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। এই ছবির হাত ধরেই বাবার সঙ্গে বড়পর্দায় ডেবিউ করবেন শাহরুখ কন্যা সুহানা। ছবিতে অভিষেক বচ্চন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করবেন বলেও খবর। ২০২৩ সালে পরপর তিনটি ব্লকবাস্টার হিট ছবির পর দুই বছর পর্দায় দেখা মেলেনি বাদশাহর। বলাই বাহুল্য পর্দায় ফের কিং খানকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দর্শকরা।