রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ হবে না, মুখে এই কথা বললেও আমেরিকা থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বিপুল পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, ২০২৪-এর তুলনায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আমেরিকা থেকে তেল আমদানি ৫১ শতাংশ বেড়েছে। শুধু অশোধিত তেল নয়, এলপিজি এবং এলএনজির আমদানিও আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। এই খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প প্রশাসনকে খুশি করতেই কি ভারতের এই পদক্ষেপ ?
পরিসংখ্যান বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হতেই আমেরিকা থেকে তেল আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
২০২৫-এর ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন আমেরিকা থেকে গড়ে ২.৭১ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। গত বছর জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ ছিল প্রতিদিন গড়ে ১.৮ লক্ষ ব্যারেল । এরই মধ্যে ট্রাম্প শুল্কযুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তারপর আমেরিকা থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে ভারত। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমেরিকা থেকে আমদানি করেছিল এবছর তার থেকে ১১৪ শতাংশ বেশি তেল কিনেছে। ভারত।
ওই পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে আমেরিকা থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়েছে, জুলাই মাসে তার থেকে ২৩ শতাংশ বেশি তেল আমদানি করেছে মোদি সরকার । ট্রাম্প শুল্ক চাপালেও আমদানি কমা তো দূর অস্ত বরং চলতি অর্থবর্ষে আমেরিকা থেকে তেলের আমদানি বৃদ্ধির হার ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। শুধু তেল নয়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আমেরিকা থেকে এলপিজি এবং এলএনজি গ্যাসের আমদানিও দ্বিগুণ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার তেলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার নির্ভরতা কাটিয়ে আমেরিকার উপরেও নির্ভরশীল হচ্ছে মোদি সরকার ? তবে সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই ট্রাম্পের মানভঞ্জন করতেই ভারত বেশি করে আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে ।
Leave a comment
Leave a comment