ভারতের অপারেশন মহাদেবে নিহত তিন পহেলগাম সন্ত্রাসীর মধ্যে একজনের নাম ছিল হাবিব তাহির ওরফে হাবিব আফগানি।জানা গেছে হাবিব আফগানি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোট জেলার কুইয়ান খাইগালা এলাকার আজিজ গ্রামের বাসিন্দা। নিহত হাবিব তাহিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া গত সপ্তাহে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-এর কুইয়ানে অনুষ্ঠিত হয়।এই জানাজা বা শেষকৃত্যে হাজির হয় লস্কর ই তৈবা কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ ও তার দলবল।আর এ থেকেই পহেলগাম হামলায় ভারতের অভিযোগ মতই লস্কর যোগের স্পষ্ট প্রমাণ মিলল বলে মনে করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে ( যদিও জাজবাত বাংলা সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি) ৩০ জুলাই তাহিরের শেষকৃত্যে অংশ নিতে পিওকের কুইয়ান গ্রামে স্থানীয়রা জড়ো হন। সেখানেই উপস্থিত হন লস্কর কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ তার সশস্ত্র অনুগামীরা। যদিও তাহিরের পরিবার আগে থেকেই লস্কর সঙ্গ ত্যাগের ঘোষণা করেছিল। তারা লস্কর বাহিনীকে আটকানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যায় এবং হানিফের ভাতিজা বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে গিয়ে শোকাহত এলাকার মানুষদের হুমকি দেয়।এর ফলে উপস্থিত জনতা ও ক্ষুব্ধ জনতা হানিফ ও তার দলকে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে।
ভারত দাবি করলেও পাকিস্থান বারবার পহেলগাম জঙ্গি হামলায় লস্কর যোগ অস্বীকার করেছে।গত মাসেই পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, লস্কর ই তৈবা গোষ্ঠীকে তারা ‘ধ্বংস’ করেছে এবং পহেলগাম হামলার সঙ্গে এই নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনও ভূমিকা নেই।তাদের মতে এটি নিষিদ্ধ এবং বিলুপ্ত সংগঠন।
যদিও পিওকের কুইয়ান গ্রামের ঘটনাবলী প্রমাণ করে দিল যে পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাকিস্তান থেকে পরিচালিত জঙ্গী যোগ স্পষ্ট। এর আগে গত মে মাসে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ নিহত লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিল পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তারা। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকেতে ওই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন লস্কর ই তৈবা কমান্ডার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত গ্লোবাল টেররিস্ট আবদুল রউফ।
কাজেই পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই।পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তাদের মাটির যোগ পাকিস্তান যতই অস্বীকার করুক না কেন তা বারেবারেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে নানাভাবে।