গত কয়েকদিন ধরে ডগবাবুকে নিয়ে তোলপাড় বিহারের রাজনীতি। এরই মধ্যে নীতীশ কুমারের রাজ্যে সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে আবাসিক শংসাপত্র পেতে অনলাইনে আবেদন করেছে এক কাক। তবে এখানেই শেষ নয়, এই তালিকায় রাম, সীতা-সহ আরও বেশ কিছু অদ্ভুত ধরনের নাম রয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রশাসনও। ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থানায় এফআইআর দায়ের করেছে।
বিহারের সদ্য শেষ হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর কাজ। ১ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম। তারপর ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আবাসিক শংসাপত্র পাওয়ার জন্য অনলাইনে জমা পড়েছে একের পর এক আবেদন। সেই আবেদনপত্রেই খাগড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত নাম আসতে শুরু করেছে। এখানে স্থায়ী বাসিন্দা এই শংসাপত্র পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে একটি কাক। আবেদনকারীর নামের জায়গায় লেখা আছে কাউয়া। বাবার নাম লেখা হয়েছে কাউয়া সিং। ছবির জায়গায় একটি কাকের ছবি লাগানো হয়েছে।
একইভাবে রাম ও সীতার নাম করেও আবেদন করা হয়েছে। রামের আবেদন পত্রে বাবার নাম দেওয়া হয়েছে দশরথ। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে অযোধ্যা। দেওয়া হয়েছে একটি অদ্ভুত ধরনের ফোন নম্বর।
বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।খাগাড়িয়ার আঞ্চলিক আধিকারিক আমির হোসেন জানিয়েছেন, এ ধরনের অদ্ভুতুড়ে আবেদন পত্র ইতিমধ্যেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যারা এই ধরনের কাজ করছে তেমন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় বিরুদ্ধে ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছে, যারা এ ধরনের কাজ করছে, তারা কেউ পার পাবে না। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
তবে বিহারে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে ডগবাবু নামে এক কুকুরের নামেও আবাসিক শংসাপত্র প্রকাশ হয়েছিল। সেই ঘটনা সামনে আসতেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বরখাস্ত করেছিল সরকার। আবেদনপত্রের সঙ্গে যে সমস্ত নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল সেগুলি সঠিকভাবে যাচাই না করেই শংসাপত্র দেওয়ার কারণে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। যে ব্যক্তি এই আবেদন করেছিল তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
Leave a comment
Leave a comment