ফের না খেতে পাওয়া মানুষ, ফের কঙ্কালসার চেহারা, ভিডিওর পটভূমি সেই গাজা – তফাৎ শুধু এই মানুষটি ইজরায়েলের অধিবাসী। সদ্য হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে ( যদিও জাজবাত টোয়েন্টি ফোর বাংলা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি) তাদের হাতে বন্দি এক ইজরায়েলি টানেলের ভিতরে দাঁড়িয়ে কিছু খোঁড়াখুঁড়ি করছেন।
যে ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি শারীরিকভাবে অতি দুর্বল, কঙ্কালসার চাহারা এবং তিনি কথা বলতেও কষ্ট পাচ্ছেন। জানা গেছে তার নাম এভিয়াতার ডেভিড, বয়স ২৪। ভিডিওতে তিনি যা বলছেন তার তর্জমা হয়ে যা এসেছে তা হল, “আমি এখন যা করছি, তা হলো নিজের কবর খুঁড়ছি। প্রতিদিন আমার শরীর আরও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমি ধীরে ধীরে নিজের কবরের দিকে হাঁটছি। ওটাই সেই কবর যেখানে আমাকে কবর দেওয়া হবে। মুক্তির সময় ফুরিয়ে আসছে। আমি শুধু চাই আমার বিছানায় পরিবারকে পাশে নিয়ে ঘুমাতে।”
পরিবারের অনুমতি নিয়ে হামাস এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। জানা যাচ্ছে ডেভিড এই কথা বলার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের অভিযোগ প্রচারের উদ্দেশ্যে নিয়েই তাদের ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রেখে গভীর অন্যায় কাজ করেছে হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,২১৯ জন ইজরায়েলি নিহত হন। পণবন্দি করা হয় বহু ইজরায়েলিকে। বারবার আলোচনায় বেশীরভাগ বন্দি মুক্তি পেলেও ৪৯ জন ইজরায়েলি এখনও বন্দি। ডেভিড সেই বন্দিদেরই একজন। আর এক বন্দি ২১ বছর বয়সী রম ব্রাসলাভস্কির অত্যন্ত দুর্বল ও ক্লান্ত দেহের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে ( যদিও জাজবাত টোয়েন্টি ফোর বাংলা এই ভিডিওরও সত্যতা যাচাই করে নি)।
এই দুই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইজরায়েলের মানুষ। যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকা একটা সরকার পণবন্দিদের মুক্তিতে কিছুই করছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে ভিডিওটি প্রকাশের পরই ডেভিডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সব পণবন্দিকে মুক্ত করার জন্য সরকার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। @~Sandipan Biswas দাদা একটু দেখে দেবেন প্লিজ