গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন। দেখালেন ন্যায়-সাম্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
৫ অগস্টকে বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করে লিখিত ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাঁদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ অগস্টকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তাঁর বার্তায় তিনি বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে নির্বাচন কবে নাগাদ হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।
দীর্ঘ একবছর হয়ে গেলেও এখনও বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। বারবার দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠলেও নানা সংস্কারের কথা বলে এখনও সে পথে হাঁটেননি ইউনুস। বিএনপি সহ কয়েকটি দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবিতে সরব হলেও ইউনুস সরকার এখনও ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কিছু বলেনি। স্বভাবতই নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদ চলমান। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনকে একটি ‘মেরুদণ্ডহীন’ প্রতিষ্ঠান বলে তোপ দেগেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।
তবে এদিন শুধু ইউনূস নন, বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও। তিনি জানান, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। বার্তায় রাষ্ট্রপতি কোথাও শেখ হাসিনার নাম না করে গণ-অভ্যুত্থানের আগের পরিস্থিতির কঠোর নিন্দা করে মুজিব কন্যার শাসনকে কড়া ভাষায় নিশানা করেন।
Leave a comment
Leave a comment