আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে মস্কো যদি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না আসে, তাহলে রাশিয়ার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে আমেরিকা।এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলোর উপরও শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা।এই ইস্যুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির, এমনটাই খবর।
মঙ্গলবার এক সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, এই কথোপকথনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘যুদ্ধ বন্ধ করা’।
সময়ের সঙ্গেই আমূল বদলে যায় পরিস্থিতি, আর সেই প্রেক্ষাপটে যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকেন তাহলে তো কথাই নেই। এই বছরেরই ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি ফেরানোর আলোচনায় হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওই বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ না নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন জেলেনস্কি। তার জেরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সেদিন ইউক্রেনীয় নেতাকে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
সেদিন ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে জেলেনস্কির প্রতি তোপ দাগলেও এখন ঘটছে ঠিক তার উল্টোটাই। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের মধ্যে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা হয়েছে। ওদের অর্থনীতি নিম্নগামী। সেই কারণেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিচলিত মস্কো। এর ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে।’
পাশাপাশি জেলেনস্কি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, কিয়েভসহ ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে রাশিয়ার লাগাতার আক্রমণ সম্পর্কে ট্রাম্প অবহিত। শান্তি স্থাপনের জন্য ট্রাম্প পুতিনকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তারপর রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠিন হবে।