ভারত-পাক সম্পর্কের জটিলতার ফায়দা তুলতে এবার কি পুরোদমে মাঠে নেমে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া নিয়েই এই প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে রফতানি সংক্রান্ত শুল্ক নিয়ে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে ঠিক তখনই এই সফরের প্রেক্ষাপট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন দু মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার মার্কিন সফরে যাচ্ছেন পাক সেনাপ্রধান? জানা গেছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডর জেনারেল মাইকেল কুরিল্লার অবসরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় যাচ্ছেন মুনির। কয়েক দিন আগেই আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিল্লাকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পদকে ভূষিত করেছে পাকিস্তান।এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান।এর আগে কুরিল্লা সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।
গত জুন মাসে, পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান মুনির। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পর তা তিনিই থামিয়ে দিয়েছিলেন বলে বারবার দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বারবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিতে চাইলেও ভারত তা মানে নি।তাতেই খেলা ঘুরে যায় বলে মনে করছেন অনেকে।
এরপর সকলকে অবাক করে ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। ভারত-পাক উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি। এর পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য প্রথমে মুনির ও পরে পাক সরকার ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন।ঠিক তার পরপরই ট্রাম্পের তরফে ভারতের উপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয় যার টানাপোড়েন এখনও চলছে। অথচ কদিন আগেই ইসলামাবাদকে বিশেষ শুল্ক ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি পাকিস্তানের তেলসম্পদ অনুসন্ধানেও আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্প।একদা ভারত বন্ধু বলে পরিচিত ট্রাম্পের এই নীতি বদল গুরুত্ব দিয়েই পর্যালোচনা করছে ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহল।
Leave a comment
Leave a comment