বর্ষাকাল মানেই শুধু চা, পকোড়া, খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ খাওয়ার সময় নয়। বর্ষাকাল মানে কিন্তু প্যাচপ্যাচে কাদা আর ভিজে জামা-কাপড়ের দিনও শুরু! আর এই মরসুমে একটা বড় ঝামেলা ফাংগাল ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা। ত্বকে চুলকানি, র্যাশ, রিঙ্গওয়ার্ম বা পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা — সবই এই সময়ের খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে কয়েকটা সহজ অভ্যাসে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই বাঁচা যায়।
সঠিক হাইজিন মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক করে মেনে চলা।
রোজ ভালো করে স্নান করতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম জমে এমন জায়গা যেমন আন্ডারআর্মস, কোমরের ভাঁজ, থাইয়ের ভিতর দিক — এগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। অ্যান্টিসেপটিক সাবান বা অ্যান্টিফাংগাল বডিওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিজে জামাকাপড় একেবারেই নয়!
একটু ভিজলেই অনেকে গা শুকোতে না দিয়েই সেই জামা পরে থাকেন। এটা একেবারেই ভুল। ড্যাম্প বা ভিজে জামাকাপড় ফাংগাসের আদর্শ জায়গা! তাই প্রতিদিন পরার পর জামা কেচে রোদে শুকিয়ে আবার ব্যবহার করতে হবে।
ঢিলেঢালা সুতির ইনারওয়্যার বেস্ট
সিন্থেটিক বা টাইট ফিটিং কাপড় থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই ভালো। বিশেষ করে ইনারওয়্যার বা অন্তর্বাস যেন সুতির হয়, যাতে ত্বক নিঃশাস নিতে পারে।
পা শুকনো রাখাটা মাস্ট!
বর্ষায় সবথেকে বেশি ভিজে থাকে আমাদের পা। কারণ ভিজে রাস্তায় হেঁটে অফিস, কলেজ বা বাজারে যাওয়া রোজকার বিষয়। তাই জুতো খোলার পরেই পা ধুয়ে ভালো করে মুছে নিয়ে হবে। শুকনো মোজা পরতে হবে। প্রয়োজনে বাড়তি মোজা সঙ্গে রাখতে হবে। সম্ভব হলে মোজা খুলে নিয়ম করে রোদে শুকোতে দিন।
ইনফেকশন শুরু হলে অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
যদি রিঙ্গওয়ার্ম বা র্যাশ হয়েই যায়, তখন ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিফাংগাল পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। নিজে থেকে স্টেরয়েড বা কোনও ওষুধ যেন ব্যবহার না করা হয়, কারণ এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এটা অবশ্যই মনে রাখবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ খুব জরুরী।
জরুরী কথা: জিম বা সুইমিং পুলের চেঞ্জিং রুমে সবসময় স্লিপার পরে থাকাই ভালো। পাবলিক প্লেস থেকে ফাংগাল ইনফেকশন ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
বর্ষায় আপনার ত্বক যদি থাকে সুস্থ, তাহলেই নো টেনশন! নিয়ম মেনে যত্ন নিলেই ইনফেকশনকে হারানো সহজ!