আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও বাংলাদেশে ভোটের ঢাকে কাঠি প্রায় পড়েই গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কিন্তু প্রশ্ন হল এবারের ভোটের ময়দানে নেই আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার দল না থাকায় এবার ভোট ময়দানে ছড়ি ঘোরাবে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। অনেকেই মনে করছেন বিএনপির শক্ত প্রতিপক্ষ না হলেও কেবলমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছে জামায়াত ও এনসিপি।
ডয়েচে ভেলে বাংলার এক রিপোর্ট বলছে নির্বাচনের ময়দানে কেবলমাত্র এই তিন দলকে রাখার একটা সমীকরণ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেই।এই নিয়ে অভিযোগও করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
যেমন এই জার্মান সংবাদমাধ্যমকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান জানিয়েছেন যে ডাক পেয়ে তারা ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে গেলেও বিএনপি, জাময়াত ও জাতীয় নগরিক পার্টিকে আগে ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছে, আর কোনও দলকে দেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলদেশও।ওই দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান গাজী বলেন, ‘৫ অগস্টকে আমরা সম্মান জানিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছি। কিন্তু ওই ঘোষণায় কী ছিল তা আমাদের জানানো হয়নি। মাত্র তিনটি দলকে জানানো হয়েছে।এটা বৈষম্য এবং স্বেচ্ছাচারিতা।’
এদিকে অন্তবর্তী সরকার তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেন নি,পরামর্শ গ্রহণ করেন নি এমন অভিযোগ তুলে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে মূলধারার চারটি বাম দল। যেমন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) ও শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
আবার একাধিক দলের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল ৫৫টি হলেও প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ের বৈঠকে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ পায় না। অথচ অনথিভুক্ত দল হলেও এনসিপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়।অনেকে মনে করছেন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য এটা মোটেও ভাল নয়।