ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ ঘোষণায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের চরম অবনতি। এই পরিস্থিতির আঁচ ভারতীয় ছাত্রদের উপর কতটা পড়বে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে যে সব ভারতীয় পড়ুয়া শিক্ষার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার কথা ভাবছে তারা কি এই পরিস্থিতির আঁচ টের পাবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ক পড়ুয়াদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। দুই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যারা আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের উপর।
শুল্কযুদ্ধ শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার ব্যাপারে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ছিল ভারতীয় পড়ুয়ারা। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে দ্বিতীয়বার ফিরতেই এই সমস্যাগুলি বেশি করে তৈরি হয়েছিল। ক্ষমতায় ফিরেই ভিসার নিয়মকানুন বদলেছেন ট্রাম্প। বাড়িয়েছেন সে দেশে পড়ার খরচ। যার নেতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়েছে ভারতীয় ছাত্রদের উপর। ভারতীয় ছাত্রদের আমেরিকায় যাওয়ার হার অনেকটাই কমেছে বলে খবর।
ভিসা নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরেও পড়াশোনার খরচ নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। ডলারের তুলনায় টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ার জন্য বর্তমানে আমেরিকায় পড়াশুনার খরচ ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে বিমানযাত্রা এবং সে দেশে থাকার খরচও। যা ভারতীয় ছাত্রদেরকে আরও কঠিন সমস্যায় ফেলেছে। কাজের জায়গায় ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু কড়াকড়ি করেছে। এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বড়সড় বদল করায় আমেরিকায় গিয়ে থাকা ও কাজ করা আরও কঠিন হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভিসা নীতির কারণে সে দেশের বিভিন্ন সংস্থা বিদেশিদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় ভুগছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ভারত মার্কিন চলতি সম্পর্কের প্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী? কারণ এখনও আমেরিকায় রয়েছে একাধিক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার জায়গা। রয়েছে আকর্ষণীয় কাজের বাজার। ভারতীয়দের একাংশের আজও প্রথম পছন্দের গন্তব্য হল আমেরিকা। কিন্তু চলতি পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত সমস্যাই হোক না কেন শিক্ষাকে দুই দেশের এই ঝামেলার বাইরে রাখা উচিত। আন্তর্জাতিক আঙিনায় কোনও উত্তেজনা তৈরি হলে সবার আগেই তার আঁচ পড়ে পড়ুয়াদের উপর। তবে ভারতীয় পড়ুয়াদের আরও কিছুটা ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পড়ুয়াদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের আশা, অচিরেই পরিস্থিতি বদলাবে।