ফের শুরু হল ভারতের পুরনো চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের বদলে নতুন হেলিকপ্টার কেনার উদ্যোগ। এই এক ইঞ্জিনের হেলিকপ্টারগুলিতে আধুনিক নেভিগেশন ব্যবস্থা বা নিরাপত্তা প্রযুক্তি নেই। শুধু তাই নয়, এই ধরনের হেলিকপ্টারে বছরের পর বছর বহু দুর্ঘটনায় বহু পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। যেমনটা মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, তারা ১২০টি রিকনাইস্যান্স অ্যান্ড সার্ভেইল্যান্স হেলিকপ্টার এবং বিমানবাহিনীর জন্য আরও ৮০টি হেলিকপ্টার কেনার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের বদলে আধুনিক ডিজাইনের হালকা হেলিকপ্টার আনা জরুরি।
এই নতুন রিকনাইস্যান্স অ্যান্ড সার্ভেইল্যান্স(Reconnaissance and Surveillance) হেলিকপ্টারগুলো দিন ও রাতে নজরদারি করতে পারে। আবার বিশেষ মিশনের জন্য অল্প সংখ্যক সেনা পরিবহন করতে পারে। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল মালপত্র বহন করতে পারে এবং আক্রমণ হেলিকপ্টারের সঙ্গে মিলিয়ে ‘স্কাউট রোল’ পালন করতে সক্ষম হয় এমনটাই শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী মিলিয়ে প্রায় ৩৫০টি পুরনো চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের দাবি জানিয়ে আসছে। ১৯৬০-এর দশকের নকশায় তৈরি এই হেলিকপ্টারগুলির ঝুঁকি নিয়ে আগেও বহুবার সতর্ক করা হলেও এতদিন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এবার পুরনো চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের বদলে নতুন হেলিকপ্টার কেনার জন্য শুরু হয়েছে তৎপরতা।