ফের ময়দানে নেমেছেন যুদ্ধ থামানোয় নিয়োজিত প্রাণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি আগামী ১৫ অগস্ট বৈঠকে বসতে চলেছেন সেই সুদূর আলাস্কায়। প্রশ্ন হল, মস্কো, কিয়েভের মতো এত জায়গা থাকতে আলাস্কা কেন? পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর এই পরিকল্পনায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি নেই কেন?
যদিও ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। গোটা বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে এই নিয়ে জল্পনা। অনেকে বলছেন আসলে আলাস্কায় হতে চলেছে আরও একটা ঐতিহাসিক সীমান্ত বাঁটোয়ারা চুক্তি, যেমনটা হয়েছিল ১৮৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার। ইতিহাস বলছে, ১৮৬৭ সালে ক্রিমিয়া যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আলাস্কাকে ৭.২ মিলিয়ন ডলারে যুক্তরাষ্ট্রকে বিক্রি করে দেন। এটিকে সেই সময়ের সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট চুক্তি হিসেবে মনে করা হয়।
২০২৫ সালে সেই আলাস্কাতেই হতে চলেছে এই সময়ের বৃহত্তম সীমান্ত বাঁটোয়ারা চুক্তি, যা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে এসেছেন। সম্ভবত জেলেনস্কিকে সঙ্গে না রেখে সেই চুক্তিতেই সিলমোহর দিয়ে ফের একটা যুদ্ধ থামানোর পালক মাথার মুকুটে লাগিয়ে নেবেন রিয়েল এস্টেটের সবচেয়ে বড় প্লেয়ার ট্রাম্প।
এর আগে পৃথিবীর নানা জায়গায় ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর আলোচনা হলেও আলাস্কা এই প্রথম। আর দিন হিসেবে ১৫ অগস্টও কম ঐতিহাসিক নয়। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি এই দিনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী, যেদিন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আত্মসমর্পণের ঘোষণা করেন।
যতদূর জানা যাচ্ছে, পুতিন ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফকে জানিয়েছেন যে তিনি পূর্ব ইউক্রেনের বিনিময়ে যুদ্ধ থামাতে রাজি। এছাড়াও তাঁর আরও শর্তের মধ্যে আছে ডনবাস থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রত্যাহার, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার গ্যারান্টি।