উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালি গ্রামে আচমকাই বন্যা পরিস্থিতি। তার কয়েকদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকার প্রদত্ত ৫ হাজার টাকার চেক নিতে অস্বীকার করেছেন বলে খবর। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতির ৫ লাখ টাকার বদলে এত সামান্য অর্থ ‘তুচ্ছ সহায়তা’ মাত্র। এই অর্থ এত বড় ক্ষতির তুলনায় কিছুই নয়।
প্রশাসনের দাবি, এই টাকা কেবল জরুরি ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক প্রশান্ত আর্য জানান, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হওয়ার পর যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘোষণা করেছেন, যাদের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে বা পরিবারের কেউ মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ জন্য রাজস্ব সচিবের নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা পুনর্বাসন ও জীবিকা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা তৈরি করবে।
ইতিমধ্যে উদ্ধার অভিযান পঞ্চম দিনে পৌঁছেছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম এলাকা থেকে মানুষদের সরানো হচ্ছে ও খাবার পাঠানো হচ্ছে। এসডিআরএফ-এর দল কুকুর ও থার্মাল ইমেজিং যন্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মঙ্গলবারের ভূমিধসে ধরালি বাজারের বহু হোটেল, হোমস্টে ও দোকান ভেঙে পড়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, এই পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে, ২ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৪৯ জন এখনও নিখোঁজ। ইতিমধ্যে ১,০০০-এরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে, পাশাপাশি কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, কাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হচ্ছে।