২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার জবাব দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল। সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের পর এটাই ছিল ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী যৌথ সামরিক পদক্ষেপ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অভিযানটি পুরোপুরি গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে চালানো হয়েছিল। স্যাটেলাইট নজরদারি, অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি এবং মানুষের বুদ্ধিমত্তা এই তিন কৌশলকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়েছিল। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা। তবে পাকিস্তানের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় কোনওরকম আঘাত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চেন্নাই আইআইটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
৭ই মে ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছিল। যার মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই- মহম্মদের ঘাঁটি এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৬টি বিমানঘাঁটি। ভারতীয় আক্রমণের জবাব দিতে পাকিস্তান কাশ্মীরে সীমান্ত সংলগ্ন অসামরিক এলাকা এবং সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। তবে দেশের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরোধী ব্যবস্থা সেই হামলা প্রতিহত করে।
একই সঙ্গে পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ১১টি বায়ু সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় ভারত। এই জবাবি আক্রমণে শতাধিক পাক জঙ্গি খতম হয়। ভারতীয় সেনার ভয়াবহ প্রত্যাঘাতে পিছু হটে পাকিস্তান। সংঘর্ষ বিরতির আর্জি জানায় ইসলামাবাদ। শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার সেই আর্জি মেনে নিলে এই সংঘর্ষ থামে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আগেই জানিয়েছিল, পাকিস্তানের যে ৯টি জায়গায় আঘাত করা হয়েছিল তার মধ্যে পাঁচটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বাকি চারটি জায়গা ছিল পাকিস্তানের ভিতরে। যার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শাকারগড় এবং শিয়ালকোটে।
যদিও পাকিস্তানের পাল্টা দাবি, ভারতীয় সেনা তাদের সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে, ভারতীয় হামলায় বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলার তারা পাল্টা বদলা নিয়েছে বলে পাক সেনা প্রধান দাবি করেছিলেন।