জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে তিব্বতকে সংযুক্ত করার জন্য একটি নতুন রেলপথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন।
এই রেলপথটি জিনজিয়াংয়ের হোতান থেকে তিব্বতের লাসা পর্যন্ত যাবে। জানা গিয়েছে এই প্রস্তাবিত রেলপথটি ভারত ও চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাবে।
চলতি বছরেই এই জিনজিয়াং-তিব্বত রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে।
এই রেলপথটি নির্মাণে রয়েছে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। তিব্বত মালভূমির মতো কঠিন মালভূমির উপর দিয়ে পাততে হবে লাইন। রয়েছে বরফাবৃত এলাকাও। ৫০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি ২০৩৫ সালের মধ্যে লাসা পৌঁছবে বলে জানিয়েছে হুয়ায়ুয়ান সিকিউরিটিজ নামে এক চিনা সংস্থা। রেল পথটি তৈরি হয়ে গেলে চিনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তিব্বতের যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। জিনজিয়াং এবং তিব্বতের মধ্যে যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।
আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাওয়া এই রেলপথটি কৌশলগতভাবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রেলপথের ফলে তিব্বতেও তাদের সামরিক শক্তি আরও বাড়াতে পারবে বেজিং। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
১৯৬২ সালে এই আকসাই চিনেই চিনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয়েছিল।
ভারতের দাবি, প্রাচীনকাল থেকেই আকসাই চিন তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জানা গিয়েছে এই রেলপথটি প্রায় ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ হচ্ছে। কুনলুন, কারোকোরাম, বরফাচ্ছন্ন হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা দিয়ে এই রেলপথ তৈরি হবে। যা নিঃসন্দেহে নির্মাণকারীদের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ।
শীতে তিব্বত মালভূমিতে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রিতে নামে। অক্সিজেন লেভেলও ভয়ঙ্কর রকম কমে যায়। সমতলের তুলনায় তিব্বত মালভূমিতে অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্র ৪৪ শতাংশ। এধরনের একাধিক প্রতিকূলতার মধ্যেও কেন চিনের এত উৎসাহ এখানে রেললাইন তৈরির জন্য তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই এই রেলপথ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন।