গোটা বিশ্বজুড়েই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে নানা সমীকরণের খেলা। গোটা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের কারিগর বলে দাবি করলেও দুনিয়া কোন পথে চলবে তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বড়দা হিসেবে তাঁর কথা অগ্রাহ্য করলেই বিপদ।
যেমন হয়েছে দিল্লির পরিস্থিতি। ভারত-পাক যুদ্ধ তিনি থামিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন দাবি মানেনি ভারত। পাশাপাশি রুশ তেল না কিনতে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিলেও তাও মানেনি দিল্লি। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন বন্ধু বন্ধু বলে সুর তুললেও এই জন্যেই ভারতের উপর যুক্তিহীন ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প।
অথচ চিনের ক্ষেত্রে এ নিয়ে বারবার ভাবতে হচ্ছে তাঁকে। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বেজিং–ওয়াশিংটনের শুল্কযুদ্ধ দেখে নিয়েছে বিশ্ব। এখন চিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হওয়া পণ্যে প্রায় ৫৫% শুল্ক দিতে হয় আর মার্কিন পণ্যে চিন পাল্টা ৩২% শুল্ক আদায় করে। ১২ আগস্টের মধ্যে দু’দেশ সমঝোতায় না পৌঁছলে দুপক্ষই বড় সমস্যায় পড়বে।
আসলে চিনের সঙ্গে সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখাটা আমেরিকার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত এপ্রিল মাসেই চিন ‘রেয়ার আর্থ’ রফতানি সীমাবদ্ধ করে আমেরিকান শিল্পকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে শক্ত মাটিতে সমঝোতার পথেই হাঁটতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। চিন যাতে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন কেনে তার জন্য বার্তা দিয়েছেন তিনি। সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিনের অর্ডার চারগুণ করে নিক। অর্থাৎ বাজারের কথা মাথায় রেখেই চিনে অনেকটাই নরম ট্রাম্প।
Leave a comment
Leave a comment