সিঙ্গুরে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টাটাদের কারখানা। শুধু কারখানা নয়, নষ্ট হয়েছে জমি। সিঙ্গুরের মানুষ কার্যত সব হারিয়েছেন। কারখানা হয়নি, ফসল হয়নি এমনকি, হয়নি মাছ চাষও। বুধবার সিঙ্গুরের আলুর মোড়ে এক পথ সভায় এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এবার রাজ্যে আলুর দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে। আলুর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বুধবার শাসক দল তৃণমূলকে তুলোধনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু বলেন, সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা নিজেদের স্বার্থে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়েছে তৃণমূল। অধিগৃহীত জমিতে শিল্প হয়নি। ওই জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আজ সেখানে না হয় কৃষিকাজ, না হয় মাছ চাষ। কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর অভিযোগ, সিঙ্গুর-সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। তার জন্য দায়ী এখানকার তৃণমূল সরকার। মোদি সরকার দেশজুড়ে ১৫ কোটি কৃষক পরিবারকে পিএম কিষান সম্মান নিধি দেয়। কিন্তু এই রাজ্যের কৃষকরা পিএম কিষান সম্মান পান না। পাচ্ছেন না কারণ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই রাজ্যের কৃষকদের নামের তালিকা তারা কেন্দ্রকে পাঠাচ্ছে না। আসলে কৃষকদের অধিকাংশই হিন্দু। সে কারণেই হিন্দু পরিবারগুলিকে এই যোজনা থেকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল সরকার। কেন্দ্রের মোদি সরকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যে সেই ভরতুকি পাওয়া মুশকিল।
শুভেন্দু আরও বলেন, “কালীপুজোর পরই আলু চাষের মরসুম শুরু হবে। তখন ১২০০ টাকা সার ২৫০০ টাকা হবে। তখন আর বেচার দেখা মিলবে না। মমতার তো… দেখা যাবে না।” উল্লেখ্য, শুভেন্দুর নিশানায় থাকা তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নার বাড়ির সামনেই আজ এই সভা করেন বিরোধী দলনেতা।
আলুর দাম প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কৃষকদের স্বার্থে সরকারকে ১৫টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হবে। নিজেদের দাবি আদায়ে কৃষকদের আন্দোলন নামার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন ভোটে জিততে কারচুপি করার খেলায় মেতে উঠেছে তৃণমূল। ভোটে জিততে এই দলের লক্ষ্য হল, মুসলিমদের ঠিক রাখা আর রোহিঙ্গা বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশ করানো। আর ভোটের আগে কিছু মানুষকে ভাতা দিয়ে ভোট কেনা।
