ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হতে চলেছে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরে। গোটা বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন এই যুদ্ধ থামার বিনিময়ে ইউক্রেনকে দিতে হতে পারে বড় মূল্য। সেই শঙ্কা থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের বোঝাতে বার্লিনে পৌঁছেছেন।
আগামী শুক্রবার আলাস্কার বৈঠকের আগে বুধবার জেলেনস্কির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হতে পারে ট্রাম্পের। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্টজের আহ্বানে এতে যোগ দেওয়ার কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট এবং ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
এই সম্মেলনের আগে জেলেনস্কি বার্লিনে পৌঁছলে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্টজ তাকে স্বাগত জানান। তৎপর হলেও জেলেনস্কির অভিযোগ, পুতিন আসলে স্বাধীন ইউক্রেন চান না। তিনি ইউক্রেন দখল করতে চান। কোনওভাবে রাশিয়ার দাবির কাছে নতিস্বীকার করে ডনবাসের প্রায় ৯০,০০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া বিপজ্জনক হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়ানো এবং শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্পের ওপর প্রভাব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই ইউরোপে ছুটে গিয়েছেন জেলেনস্কি।
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রুশ নেতার মধ্যে মুখোমুখি সাক্ষাৎ। কিছু ইউরোপীয় কর্মকর্তা প্রকাশ্যে এই আলোচনাকে স্বাগত জানালেও অন্যরা সতর্ক করছেন যে এর মূল্য হতে পারে অনেক বেশি। যেমন রাশিয়ার সঙ্গে ৮৩০ মাইল সীমান্ত ভাগ করা ফিনল্যান্ড এতে ইউক্রেনের জন্য আশার আলো কিছু দেখছে না। ফিনল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী এলিনা ভালতোনেন আগেই জানিয়েছেন যে পুতিন সম্প্রসারণ চান, তাঁর থামার কোনও ইচ্ছা নেই।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মৌলিক ভয় হল, বাকিটা নেবেন না এমন একটা প্রতিশ্রুতিতে ইউক্রেনের একটি অংশ পুতিনকে দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও অল্প সময় পরই তিনি ইউক্রেনের সবটা নিয়ে নেবেন। চুক্তিতে যাতে এমনটা না হতে পারে সেজন্যেই লড়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
Leave a comment
Leave a comment