পুরীতে দ্বাদশ শতাব্দীর জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন একটি প্রাচীরে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার হুমকিসূচক পোস্টার সাঁটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর ফলে পুরো পুরী শহরে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বুধবার সকালে মন্দিরের হেরিটেজ করিডর বা পরিক্রমা মার্গের পাশে ওড়িয়া ও ইংরেজি ভাষায় এই হুমকি বার্তা দেখতে পাওয়া যায়।
দেওয়ালে লেখা বার্তাগুলিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম উল্লেখ করা হয়, এবং লেখা ছিল “আমরা জগন্নাথ মন্দির ধ্বংস করে দেব”। সেখানে বেশ কয়েকটি ফোন নম্বরের পাশে “কল করুন” লেখাও দেখা যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগুলো মুছে ফেললেও ততক্ষণে ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা বেড়ে যায়।
হেরিটেজ করিডরের কিছু আলোকসজ্জা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। অথচ এই এলাকা সর্বদা সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ টহলের আওতায় থাকার কথা।
ঘটনার পর ভক্ত ও মন্দির সেবায়েতরা কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। স্থানীয় ভক্ত রেনুবালা ত্রিপাঠী বলেন, “কিছুদিন আগে নিরাপত্তা বলায় ভেদ করে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি মন্দিরের বাইরের প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। তারা আজও শনাক্ত হয়নি। এখন আবার এই হুমকি বার্তা! এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। যেই জায়গা ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে থাকার কথা, সেখানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল?”
মন্দিরের এক সেবায়েত শ্যামা মহাপাত্র বলেন, “মন্দির এলাকা হাই-সিকিউরিটি জোন হওয়া সত্ত্বেও, দুষ্কৃতীরা এভাবে হুমকি পোস্টার লাগিয়ে চলে যাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উদ্বেগের। এটা পুলিশের নজরদারির নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”
পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান,
“আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি। মন্দির এবং ভক্তদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শিগগিরই অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”
প্রাথমিকভাবে পুলিশ সন্দেহ করছে, এটি হয়তো সাধারণ কোন ব্যক্তি ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে করেছে। তবে বিষয়টি সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটেরও নজরে এসেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।