২০০৫ সালের ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, রাজু পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূজা পালের। বিয়ের একদিন পরেই রাজু খুন হয়ে যান। এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় গ্যাংস্টার বিধায়ক আতিক আহমেদের। এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে লড়াই করে গিয়েছেন পূজা। সম্প্রতি ওই খুনের ঘটনায় দোষীরা সকলেই শাস্তি পেয়েছেন। খুনিরা শাস্তি পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পূজা। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যোগী সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিরও প্রশংসা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক পূজা। এবার যোগী ও তাঁর সরকারের প্রশংসা করায় পূজাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব।
অখিলেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজু পালের স্ত্রী তথা বিধায়ক পূজা পালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। কারণ সতর্ক করার পরেও পূজা দলবিরোধী কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। সে কারণেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। আগামীতে দলের কোনও অনুষ্ঠানে পূজা অংশ নিতে পারবেন না। দলের কোনও কর্মসূচিতে পূজাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
অখিলেশের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই আসরে নেমেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল সমাজবাদী পার্টিতে কোনও গণতন্ত্র নেই। সেখানে সত্য কথা বলা যায় না। বিজেপির প্রতি সপার যে পর্বত প্রমাণ বিদ্বেষ রয়েছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ। সপার এই সিদ্ধান্ত দলিত বিরোধী। পূজা দলিত সম্প্রদায়ের নেত্রী বলেই তাঁকে এভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
এদিকে পূজার দলিত পরিচয় নিয়ে বিজেপি সরব হওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে সপা। ভবিষ্যতে পূজা যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে সপার অস্বস্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, রাজু পাল খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। কিন্তু রাজুর মতো তাঁকেও খুন হতে হয়। এই খুনের ঘটনাতেও নাম জড়ায় গ্যাংস্টার আতিক ও তার ভাই আশরফের। পুলিস তাদের গ্রেফতার করে। কিন্তু আদালতে তোলার আগে পুলিসি হেফাজতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির গুলিতে খুন হন আতিক ও আশরফ।
Leave a comment
Leave a comment
